রেজওয়ানুল ইসলাম রনি: বয়সভিত্তিক ফুটবলে বরাবরই সাফল্যএনে দিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। গত বছর সাফল্য এনেদিয়েছে সিনিয়র দলও। প্রথমবার জিতেছে সাফচ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা। সাবিনা-কৃষ্ণাদের সাফল্যে প্রত্যাশাবেড়ে গেছে দ্বিগুণ। তাই অনূর্ধ্ব-২০ সাফেও শিরোপা জয়েরপ্রত্যাশা মেয়েদের। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হচ্ছেঅনূর্ধ্ব-২০ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। এবারের আসরে বাংলাদেশেরবড় বাঁধা হতে পারে ভারত। গত বছর অনূর্ধ্ব -১৭ মেয়েদেরবিশ্বকাপ খেলা দলের অধিকাংশ ফুটবলার নিয়েই দল গড়েছেতারা। নেপাল ও ভুটানকেও কঠিন প্রতিপক্ষ হিসেবেই দেখছেনবাংলাদেশ কোচ। তবে ঘরের মাঠে খেলা বলেই নিজেদেরফেভারিট হিসেবে মানছেন ছোটন, আমাদের দল সবসময়ফেভারিট হিসেবে খেলে থাকে। আমাদের লক্ষ্য ফাইনালেখেলা, ম্যাচ ধরে ধরে খেলব আমরা। দেশের মাটিতে আমরাসবসময় ফেভারিট হিসেবে খেলে থাকি। ঘরের মাঠে হওয়া এইটুর্নামেন্টে ভালো ফুটবল খেলাই লক্ষ্য বলছেন ছোটন, ‘এইদলটায় অনেকে আছে, যারা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে। বেশিরভাগের আন্তর্জাতিক ম্যাচের অভিজ্ঞতা আছে। তাইআমি মনে করি, এই টুর্নামেন্টেও আমাদের মেয়েরা ভালোফুটবল খেলবে। নারী ফুটবল লিগে সর্বোচ্চ ২৫ গোল করাআকলিমা খাতুন আছেন এই দলে। তার উপর আক্রমণভাগেরগুরু দায়িত্ব থাকছে। লিগে নিয়মিত গোল করায় তাঁরআত্মবিশ্বাস আরো বেড়েছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ কোচ, আকলিমা এরই মধ্যে লিগে নিজেকে প্রমাণ করেছে। ২৫ গোলকরেছে। সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিল। গত বছর জামশেদপুরেআমরা যে টুর্নামেন্ট খেলেছি, সেখানেও কিন্তু ভারত ও নেপালেরবিপক্ষে তার গোল আছে। তখন কিন্তু একেবারেই তরুণ ছিলসে। তারপরও প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলতে নেমে গোলকরেছিল। আমি মনে করি, লিগের ২৫ গোল করা এইটুর্নামেন্টের জন্য তার আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে। এই টুর্নামেন্টের আগে সিনিয়র জাতীয় দলের সঙ্গে দুটি প্রস্তুতিম্যাচ খেলেছে মেয়েরা। প্রথমটিতে ২-১ গোলে জিতেছে অনূর্ধ্ব-২০ দল এবং দ্বিতীয়টিতে ৩-০ গোলে হেরেছে।