হেলাল হোসেন কবিরঃ লালমনিরহাটের গা ঘেঁষে ভারতের সীমান্ত মাদকের পরেই স্বর্ণ চোরাচালানের নিরাপদ রুট হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে। আর স্বর্ণকে ঘিরেই লালমনিরহাটের বিভিন্ন স্থানে জুয়েলার্সের দোকান গড়ে উঠেছে। এই জুয়েলার্সের আড়ালে অনেকে ভারতে স্বর্ণ পাঁচার করে রাতারাতি কালো টাকার মালিক হয়েছেন। মাদক হরহামেশাই ধরা পড়লেও স্বর্ণ চোরাকারবারিরা ধোঁয়াছোয়ার বাহিরে থেকে যান। এবার বিজিবি হাতে ধরা পড়লো স্বর্ণের চালান।
বিজিবি ১৫ ব্যাটালিয়ন লালমনিরহাটের পক্ষে থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে জানা যায়, ৩১ জানুয়ারি লালমনরিহাট ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ দিঘলটারী বিওপির সীমান্ত এলাকা থেকে ৫২৪৮.৭২ গ্রাম ওজনরে ৪৫টি স্বর্ণের বারসহ একজন স্বর্ণ পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে।
১৫ বিজিবি’র অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ পিএসসি এক গোপন সংবাদ পান যে, লালমনিরহাটের আদিতমারীর দূর্গাপুর দিঘলটারী বিওপির দায়িত্বপূর্ণ কুটিরচর নামক এলাকা দিয়ে ভারতে স্বর্ণ পাঁচার হবে। তিনি দিঘলটারী বিওপি কমান্ডারকে সেই বিষয়টি অবগত করেন।
তারপর বিজিবির একটি টহলদল বিকাল আনুমানকি ৩ ঘটিকায় ভারতের সীমান্ত থেকে প্রায় ৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কলাবাগানে পাশে এক স্বর্ণ চোরাকারবারিকে আটক করে।
আটককৃত ব্যক্তিকে তল্লাশী করে কোমরে কাপড় মোড়ানো ২টি প্যাকটে উদ্ধার করে। পরর্বতীতে বিজিবির টহলদল আটককৃত ব্যক্তি ও প্যাকট দুইটি বিওপিতে নিয়ে আসে এবং ১৫ অধিনায়কের উপস্থিতিতে প্যাকটে দুইটি খুলে ৪৫টি স্বর্ণের বার (২৪ ক্যারটে) উদ্ধার করে। যার ওজন ৫২৪৮.৭২ গ্রাম (৪৫০ ভরি ৩ আনা ১ রতি) এবং যার বর্তমান আনুমানিক বাজার মূল্য-৪,৫০,০০,০০০/- (চার কোটি পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা।
আটককৃত পাঁচারকারী দূর্গাপুর বানিয়াটারি এলাকার মৃত্যু মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোঃ আজিজার রহমান (৫৮)।
বিজিবি’র পক্ষ থেকে জানানো হয় আটককৃত আজিজারের বিরুদ্ধে আদিতমারী মামলা দায়ের করা হয়েছে।