মোঃ শরিফুল ইসলাম,লালপুর নাটোর প্রতিনিধিঃ নাটোরের লালপুরের সংস্কার করা পাঁকা সড়ক আর অলিগলিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ছোট-বড় অবৈধ নানা ধরনের যানবাহন। তাদের দৌরাত্ম্যে প্রাণের ঝুঁকিতে রয়েছেন পথচারী ও যাত্রীরা। অবৈধ যানবাহনের বেপড়য়া চলাচল, যানবাহনে এলইডি লাইট ও বেপরোয়া গতির কারণে ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা। এতে বহু শিশু থেকে বৃদ্ধ, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী প্রাণ হারাচ্ছেন। চিরদিনের মত পঙ্গুত্ব বরণ করতে হচ্ছে অনেককেই।
সূত্রে জানা যাায়, গত ৩ মাসে লালপুর উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে অনন্ত ১৬ টি দূর্ঘটনায় প্রাণ হারয়েছেন ৯ জন, আর ২৮ জন আহত হয়েছেন। আর এসব সিংহভাগ দূর্ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার প্রধান সড়কগুলে সম্প্রতি সংস্কার করা হয়েছে। এতে সড়কে যান বাহনের গতি বেড়েছে। আর উপজেলা জুড়ে পাওয়ারটিলার, বালু, মাটি ও ইট টানা ট্রলি এবং চার্জার ভ্যান, ইজিবাইক নামক এসব অবৈধ যানবাহনের রয়েছে অবাধ চলাচল। এরা যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং করায় তৈরী হচ্ছে যানজট। আর কৃষকদের কৃষিজমির মাটি ইটভাটায় সরবরাহ, ইট ভাটায় আনানেয়া এসব অবৈধ পরিবহনে। বেপরোয়া গতিতে চলাচলের কারণে পথচারীরা যেমন ঝুঁকি নিয়ে পথ চলেন, তেমনই রাস্তারও ক্ষতি হচ্ছে। আর অবৈধ এসব যানবহনের চালকরাও বেশির ভাগই অদক্ষ, অপ্রাপ্তবয়স্ক ও কিশোর বয়সী হওয়ায় সড়ক দূর্ঘটনাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
এবিষয়ে নিরাপদ সড়ক চাই লালপুর উপজেলা শাখার সভাপতি এএম রায়হান বলেন, একদিকে চালকরা সড়কে গতি মানছেন না। অন্যদিকে সড়কে অবৈধ যানবাহনের দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। অপ্রাপ্তবয়স্ক ও লাইসেন্স বিহীন চালক, চালকদের অদক্ষতা, ত্রুটিপূর্ণ রাস্তা ও সড়ক আইন না মানা আর জনসাধারণের অসচেতনতার কারণেই বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটছে।এসব সড়ক দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ।
লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহা. মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, সড়ক দূর্ঘটনায় অভিযোগ পেলে সড়ক আইনে আইনআনুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা সুলতানা বলেন, সড়ক দূর্ঘটনা রোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। আর সড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা জরুরি। এছাড়া সড়কে দূর্ঘটনা রোধে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সড়কে অপ্রাপ্তবয়স্ক ও লাইসেন্স বিহীন চালক এবং কোনো যানবাহন গতিসীমা লঙ্ঘন করলে বা সড়ক আইন না মানলে তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।