ইয়াছিন মোল্লাঃ রাজধানীর গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়ায় একটি ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে ‘ক্যাফে কুইন’ নামে সাত তলা ভবনের নিচতলায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এসময় পাশাপাশি থাকা দুটি ভবন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ বিএনসিসির ৬ সদস্যসের একটি টিম উদ্ধার তৎপরতায় এগিয়ে আসেন।
সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ বিএনসিসি প্লাটুন থেকে সর্বমোট ৬ জন ক্যাডেট অংশগ্রহণ করে। এই উদ্ধার অভিযানে তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সাথে উদ্ধার অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। তারা সবাই রাত ২ টা পর্যন্ত এই কার্যক্রমের সাথে যুক্ত ছিল।
এই বিষয়ে ক্যাডেট আন্ডার অফিসার আলভি বলেন
BNCC তে আমরা আমরা সর্বদা জ্ঞান, শৃংখলা ও স্বেচ্ছাসেবক এর মূলমন্ত্রে দীক্ষিত। BNCC থেকে বিভিন্ন ক্যাম্পিং ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমাদের ফায়ার সার্ভিস এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি প্রদান করা হয়ে থাকে। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল সংগঠিত এই মানবিক দুর্যোগে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ বিএনসিসি প্লাটুনের সম্মানিত পিইউও স্যারের অনুমতিক্রমে ক্যাডেটবৃন্দ সেচ্ছায় এগিয়ে আসে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করে গিয়েছে। আশা করছি দেশের যেকোনো প্রকার দুর্যোগ ও মানবিক কাজে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ক্যাডেটবৃন্দ সবার আগে এগিয়ে আসবে।
তিনি আরোও বলেন, আমাদের কলেজে ছাত্র হল থাকলে অবশ্যই আমাদের কলেজের সব সংগঠনের মধ্যে যোগাযোগ আরো দ্রুত গতিতে হতে পারতো।
আমাদের সম্মিলিত হওয়া থেকে শুরু করে এক সাথে হাতে হাত রেখে বিএনসিসি , স্কাউট, বাঁধন এর মত সংগঠনগুলো আরো শক্তিশালী ভাবে কাজ করতে পারতো।
এছাড়াও তিনি বলেন, আমাদের যদি হল থাকতো তাহলে শুধু সিদ্দিক বাজার না আমি মনে করি, পুরান ঢাকার যেকোনো স্থানে যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় সবার আগে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ সহ যেকো ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করার সক্ষমতা রয়েছে
এখন তো এক এক জন দুর দুরন্ত থেকে এসে মিলিত হওয়া , খবর ও তথ্যের প্রাপ্তিতে অনেক সময় অপচয় হয়।
যেমন কালকে সাংবাদিক সমিতির ফেসবুক পোষ্ট এর পর আমরা জানতে পারি। তারপর সবাইকে সংগঠিত করতে ৩০-৪৫ মিনিট সময় লাগে যা হল থাকলে ৫-১০ মিনিট এই করা সম্ভব হতো।
এবং আমাদের কলেজ থেকে আমরা বিচ্ছিন্ন ভাবে না গিয়ে সবাই একত্রিত ভাবে কাজ করতে পারতাম। তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয় সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমাদের আহবান আমাদের কলেজে যাতে শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য দ্রুত, হল স্থাপনের ব্যবস্থা করা হয়।
উল্লেখ্য, পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ অন্যতম। কিন্তু ৭৩ বছরে পা রাখলেও কলেজটি পায়নি কোনো হল, খেলার মাঠ, পরিবহন সুবিধা।