আমাদের ভোলা জেলার লোকসাহিত্যর এক আকর্ষণ, ধাঁধা। যা গ্রাম গঞ্জে একে অপরকে প্রশ্নবানে জর্জরিত করেন। উত্তরদাতায় পান বাহবা। অনেক সময় বিয়ের উৎসবে একে অপরকে ধাঁধা ছুড়ে দেন,অথবা বিয়ে বাড়ির গেইটে একে অপরকে প্রশ্নবানে জর্জরিত করেন। ধাধার প্রশ্নের উত্তর পারলেই গেইট পেরিয়ে বিয়ে বাড়ি যাওয়ার অনুমোদন পায় । বিদ্যা বুদ্ধি ও অভিজ্ঞতার আলোকে জ্ঞান চর্চার অন্যতম মাধ্যম ধাঁধা। জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎকর্ষের চরম উন্নয়নের মুহূর্তেও এদের অবদান চিন্তার খোরাক যোগায়। আশাকরি নিম্নলিখিত আমাদের ভোলা জেলার ধাঁধাঁ গুলোর কমেন্টসে জবাব দিবেন।
ডাঃ মোঃ মহিউদ্দিন
# একটুখানি গাছে রাঙ্গাবউটি নাচে।
# মুখ নাই কথা বলে পা নাই হেঁটে চলে
# সবকিছু পেরিয়ে যায় নদীর কাছে গিয়ে ভিমরি খায়।
# বাড়িতে আছে কাঠের গাই বছর বছর দুধ খাই।
# মামুদের একটা গাই এক বিয়ানে নাই।
# গাংগের পারের বুড়িগুলি নতুন ধান কুটে, কাকলিতে পারা দিলে কেকত করে উঠে ।
# আমি থাকি খালে তুমি থাকো ডালে,
দেখা হবে দুজনের মরণের কালে।
# ইরিং বিরিং তিরিং ভাই,
চোখ দুটো তার মাথা নাই।
# এক হাত গাছটা ফল ধরে পাঁচটা
# ঘর আছে দুয়ার নাই,
মানুষ আছে কথা নাই।
# একমুঠ কাচিয়া, ফুল ওঠে নাচিয়া।
# এক হাতির দুই মাথা,
আতি যায় কলকাতা।
# আল্লাহর কি কুদরত,
লাঠির মধ্যে শরবত।
# আম নয় জাম নয় গাছে নাহি ধরে
তবুও সকল লোকে তারে ফল বলে জানে।
# চলরে ভাই বাণিজ্য যাই
কি ফল খাইলাম ফলের বডু নাই।
# তিন অক্ষরে নাম যার জলে বাস করে
মাঝের অক্ষর বাদ দিলে আকাশে ওড়ে।
# দুই হাত দশ আংগুল নাকটা
চোখ কান নাই কোন প্রাণীর ?
# চলতে চলতে তার মাথা হইল ভার
মাথাঠা কাইটা দিলে চলব আবার।
# তুমি আমি একজন দেখতে এক রূপ
আমি অনেক কথা বলি তুমি কেন চুপ?
# এক থাল সুপারি
গুনতে পারে কোন বেপারী।
# মুখ দিয়া বমি করে রক্ত তার কালা
তোমার আমার সবার কাছে
জিনিসটা খুব ভালা।