স্বপন কুমার রায়,খুলনা ব্যুরো প্রধানঃ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৪ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে টাইগাররা। সফরকারীদের দেয়া ১১৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৭ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
ইংল্যান্ডের দেয়া ১১৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ৯ রানে স্যাম কারানের বলে সীমানায় ধরা পড়েন লিটন। ৬ষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে রনি তালুকদারকে হারিয়ে দ্বিতীয় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। রনির বিদায়ের পর জমিয়ে ব্যাটিং করছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত আর তৌহিদ হৃদয়। তবে সেই জুটি বড় হতে পারেনি হৃদয়ের আউটে। ১৮ বলে ১৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।১৬ বলে ২ ছক্কায় ২০ রান করা মিরাজ আর শূন্য রানে অধিনায়ক সাকিব আউট হলে চাপে পড়ে টাইগাররা। একপ্রান্ত আগলে রেখে ক্রিস জর্ডানকে দারুণ বাউন্ডারিতে সব চাপ দূর করেন শান্ত। একই ওভারে তাসকিনের ব্যাট থেকেও আসে বাউন্ডারি। পরের বলে আরেকটি বাউন্ডারি মেরে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তাসকিন।
এর আগে, রোববার (১২ মার্চ) টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় ইংল্যান্ড। তাসকিন আহমেদ প্রথম ওভারে ১০ রান দিলেও নিজের দ্বিতীয় ওভারে মালানকে ফেরালেন তিনি। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে স্ল্যাশ করতে গিয়ে থার্ডম্যানে ক্যাচ তুলেছেন, হাসান মাহমুদ ভুল করেননি। ১৬ রানেই প্রথম উইকেট হারিয়েছে ইংল্যান্ড।
তাসকিনের পর বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন সাকিব। ফিল সল্টকে সরে যেতে দেখে সাকিব বলটি করলেন অফ স্টাম্পের ওপর। সে বলে আবার টার্নের সঙ্গে ছিল বাউন্স। ভড়কে গিয়ে সেটিতেই ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন সল্ট। সল্টের বিদায়ের পর বাটলারকে আউট করেন হাসান মাহমুদ।
বাটলারের পর মঈন আলীকে ফেরান একাদশে সুযোগ পাওয়া মিরাজ। মঈন আলীর পর কারানকেও ফেরান তিনি। কারানকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে দেখে লাইন পরিবর্তন করেন মিরাজ, শেষ মুহূর্তে আর নিজের অবস্থান ঠিক করতে পারেননি কারান। স্টাম্পড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
শেষ ওভারে বেন ডাকেটকে প্যাভিলিয়নে ফেরান মুস্তাফিজ। চতুর্থ বলে রানআউট হন রেহান আহমেদ। শেষ বলে জোফরা আর্চারও রান আউট হলে ১১৭ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। এছাড়া ১টি করে উইকেট পেয়েছেন তাসকিন, মুস্তাফিজ, সাকিব এবং হাসান মাহমুদ।