মোঃ মুশফিক হাওলাদার,বিশেষ প্রতিনিধিঃ ভোলায় অপারেশন থিয়েটারে স্ত্রী ও নবজাতককে রেখে রক্তদাতাকে পৌঁছে দিতে গিয়ে ‘সড়ক দুর্ঘটনায়’ সাংবাদিক শামসুর রহমান শুভর (২৫) মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ঢাকাস্থ ভোলা সাংবাদিক ফোরাম (ডিবিএসএফ)।
এছাড়াও নিহত সাংবাদিক শুভর শোকাহত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে সংগঠনটি। একইসাথে এটি নিছক সড়ক দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড তা খুঁজে বের করতে ডিবিএসএফ’র পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়।
আজ সংগঠনের সভাপতি আহসান কামরুল ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এটি সড়ক দুর্ঘটনা হয়ে থাকলেও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নিহত সাংবাদিকের নবজাতক ও পরিবারের দায়িত্ব সরকারের সংশ্লিষ্টদের নিতে হবে।
নিহত সাংবাদিক শুভ দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকার তজুমদ্দিন উপজেলা সংবাদদাতা এবং ওই উপজেলার রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য ছিলেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দিনগত রাতে জেলার সদর উপজেলা মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ড এলাকা সংলগ্ন ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশ থেকে ৯৯৯-এ কল পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
শুভর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মঙ্গলবার সকালে শহরের মেঘনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক জানিয়েছেন ওইদিন রাতেই তাকে সিজার করাতে হবে। তার জন্য রক্তের প্রয়োজন। রাত ৯টার দিকে শুভর এক বন্ধু তার স্ত্রীকে রক্ত দিতে আসে। রক্ত দেওয়া শেষে রাত সাড়ে ১১টার দিকে শুভ তার বন্ধুকে তজুমদ্দিন উপজেলার কাজীর হাট বাজার এলাকায় মোটরসাইকেল যোগে এগিয়ে দিতে যায়। বন্ধুকে নামিয়ে দিয়ে স্ত্রীর কাছে ফিরে আসার সময় মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ড এলাকা সংলগ্ন সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, হৃদয়বিদারক বিষয় হলো- সিজার শেষে তার স্ত্রীর কোলজু্ড়ে ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। সন্তানকে দেখার জন্য শুভকে একাধিকবার ফোন করা হয়। কিন্তু তার ফোন রিসিভ হয়নি। পরক্ষণে পুলিশ জানায়, শুভ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। নিহতের নবজাতক ও পরিবারের পাশে থাকবে ঢাকাস্থ ভোলা সাংবাদিক ফোরাম।