এইচ এম শহীদ,পেকুয়া প্রতিনিধিঃ সোমবার (২০ মার্চ) কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নে নৌবাহিনীর সাবমেরিন ঘাঁটি ‘বানৌজা শেখ হাসিনা’ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষ্যে সাবমেরিন ঘাঁটি এলাকা সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে।
নৌবাহিনী সূত্র জানায়, চীনের কারিগরী সহায়তায় বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে দেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটিটি নির্মাণ করে। সাবমেরিন ঘাঁটি নির্মাণে দেড়শো কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করা হয়েছে। চীন থেকে দু’টি সাবমেরিন কিনতে ব্যয় হয়েছে বিশ কোটি ৩৩ লাখ ডলার। ২০১৭ সালে সাবমেরিন যুগে প্রবেশের পর কর্ণফুলী নদীর ঈশা খাঁ নৌঘাঁটিতে রাখা হতো বানৌজা ‘নবযাত্রা’ ও ‘জয়যাত্রা’ সাবমেরিন। এসময় সাবমেরিনের এ ঘাঁটি নির্মাণের ঘোষণা দেন সরকার প্রধান। বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলের পাশ ঘেঁষে প্রায় ৭০০ একর জায়গা নিয়ে তৈরি করা হয় সাবমেরিন ঘাঁটিটি। সাবমেরিন দুটির প্রতিটির দৈর্ঘ্য ৭৬ মিটার ও প্রস্থ সাড়ে ৭ মিটার। টর্পেডো ও মাইনে সুসজ্জিত সাবমেরিনগুলো শত্রুপক্ষের যুদ্ধজাহাজ ও ডুবো জাহাজে আক্রমণ চালাতে সক্ষম। পূর্ণ ধারণক্ষমতা নিয়ে এগুলোর গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭ নটিক্যাল মাইল।
নৌবাহিনী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটিতে সাবমেরিন নিরাপদে রাখতে বেসিন ও এন্ট্রি চ্যানেল, সাবমেরিন ফ্রিট হেডকোয়ার্টারস, যুদ্ধ জাহাজের বার্থিং ফ্যাসিলিটিজ, এবং সাবমেরিন সংক্রান্ত সকল প্রকার বেস সাপোর্ট ফ্যাসিলিটিস রয়েছে।
নৌবাহিনীর প্রধান এর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্টিত কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি আধুনিক শক্তিশালী ও সক্ষম নৌবাহিনী গঠনে বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠার কথা তুলে ধরে বলেন, সমুদ্রের অফুরন্ত প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় নৌবাহিনী আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষা ও দূর্যোগ মোকাবেলায় কাজ করে।
এর আগে ‘বানৌজা শেখ হাসিনা’ ঘাঁটিতে ভিডিও টেলিকনফারেন্সে সংযুক্ত হলে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান, নৌবাহিনীর প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল ও ঘাঁটির অধিনায়ক কমডোর মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, চকরিয়-পেকুয়ার সাংসদ জাফর আলম, মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক ও পেকুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।