রাকিব হোসেন,ঢাকাঃ বাংলাদেশ শিল্প উদ্যোক্তা এসোসিয়েশনের উদ্যোগে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে সংগঠনটির ব্যবসায়ীদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার পার্টি অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার ৯ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাব আবদুস সালাম হলে শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আ.স.ম ফিরোজ এমপি সভাপতি জাতীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটি ও সাবেক চিফ হুইপ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জনাব ইলিয়াস খান সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাতীয় প্রেস ক্লাব। জনাব এইচ এম রেজাউল করিম রেজা সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ। জনাব ব্যারিস্টার জাকির হোসেন আইনজীবী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। জনাব এবিএম ফারুক হোসেন ইন্সপেক্টর অফ পুলিশ স্পেশাল ব্রাঞ্চ ঢাকা। জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শিক্ষা বলার মত একটি গল্প ফাউন্ডেশন। জনাব কাউসার আলম সরকার চেয়ারম্যান মডার্ন ওয়ার্ল্ড ডেইলী ফুট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। জনাব মোহাম্মদ সোলাইমান স্বত্বাধিকারী আলজাই সলিউশন্স। জনাব মনিরুল ইসলাম মনির সহ-সভাপতি বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ।
উক্ত ইফতার মাহফিল ও শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি জনাব কামরুল হাসান লিটন স্বত্বাধিকারী আরিজা ফুড এন্ড বেভারেজ। এছাড়াও উদ্বোধনী বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অত্র সংগঠনের অর্থ ও বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেনিথ গ্রুপ,জনাব নেওয়াজ শরীফ,সহ সংগঠনের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় প্রধান অতিথি বক্তৃতায় বলেন, আমি আপনাদের সকল উদ্যোক্তাদের কথা পর্যআলোচনা করে বুঝতে পারলাম আপনাদের মূল ঝামেলা প্রশাসনিক, আপনাদের ব্যবসায়ীদের ধৈর্য ধরতে হবে এবং আপনাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমি আপনাদের কথা দিলাম অতি শীঘ্রই আমি আপনাদের সংগঠনের ১০ থেকে ১৫ জন প্রতিনিধি নিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে এবং বিএসটিআই ভোক্তা অধিকার সকল সংস্থার সাথে আমি কথা বলবো। আমি আপনাদের পাশে আছি থাকবো। আপনাদের সততা দক্ষতা এবং যোগ্যতা দিয়ে প্রমাণ করতে হবে, আপনারাই সফল ব্যবসায়ী।
বিশেষ অতিথি ইলিয়াস খান বলেন, আমি আপনাদের উদ্যোক্তাদের সাথে সব সময় আপনাদের পাশে আছি এবং থাকবো, আপনাদের ধৈর্যশীল হতে হবে। আমরা ইতিপূর্বে দেখতে পাই রমজান মাস আসলেই ব্যবসায়ীরা ভোক্তাদেরকে কিভাবে ঠকানো যায়। সেজন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। না ভাই এগুলো করা যাবে না আপনারা ১১ মাস ব্যবসা করে যদি চলতে পারেন তাহলে রোজার মাসেও চলতে পারবেন না কেন।সুতরাং পণ্যর উপরে দাম বৃদ্ধি না করাই ভালো।
উক্ত সংগঠনের সভাপতি কামরুল হাসান লিটন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান চাকরি নয়, উদ্যোক্ত হও,চাকরি দাও, এই স্লোগানে অদ্ভুধ হয়ে আমরা আমাদের সকলের মেধা ও পুজি বিনিয়োগ করে দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। কিন্তু একদল অসাধু স্বার্থন্বেষী একটি কুচক্র মহল আমাদের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পথে পথে বাধা দিয়ে যাচ্ছে। যেমন আমাদের প্রত্যেকটি কোম্পানির ব্যবসায়িক সকল বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন প্রশাসনিক সংস্থা কোন রকম পূর্বে নোটিশ প্রধান ব্যতীত আমাদের ক্ষুদ্র কোম্পানি গুলোর কাগজপত্র যাচাই-বাছাই না করে কোম্পানির উৎপাদিত পণ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই আমাদের কোম্পানির মালামাল নিয়ে যায়। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে প্রত্যেকটি কোম্পানিকে একাধিকবার মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রদান ফ্যাক্টরি সিলগালা এবং বড় অংকের জরিমানা করে থাকে। এইসব কারণে আমরা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছি। এবং নতুন উদ্যোক্তারা উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে। আমাদের এই উদ্যোক্তাদের ক্ষতি করার জন্য কে বা কাহারা পিছনে থেকে ইন্দন দিচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করব এদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হোক। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আবেদন জানাই আমরা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে দেশের অর্থনীতিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারি।