নিজস্ব প্রতিবেদক,ভোলাঃ ভোলার বোরহানউদ্দিনের পক্ষিয়া ইউনিয়নে বাল্যবিবাহ দেওয়ার অপরাধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১জনকে আটক করেছে বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নওরীন হক পরে মুচলেকা এবং জরিমানার মাধ্যমে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে,গত সোমবার রাতে পক্ষিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পক্ষিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী মোসাঃ সুমাইয়া(১৩) এর সাথে মোঃ সুমন নামে এক যুবকের বিবাহ সম্পন্ন হয় এই তথ্য বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অবগত হলে ২১ মে রবিবার বিকালে কনের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে কাউকে না পেয়ে আবার বরের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা কালে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান বর ও কনে”এক পর্যায়ে কৌশল অবলম্বন করে বরের মা হাছিনা বেগম(৫৫) কে আটক করে উপজেলা প্রশাসন পরে রবিবার রাতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বরের মাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নওরীন হক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নওরীন হক বলেন,বাল্যবিবাহের অপরাধে ২০১৭ এর ৮ ধারা অনুযায়ী হাছিনা বেগম(৫৫) নামে একজনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন সর্দার,বোরহানউদ্দিন থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ মনির হোসেন প্রমুখ।
তবে গত কয়েকদিন আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বরের বাবা মোঃ আবু ও তার বোন জানান,পক্ষিয়া ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ রিপন
বর ও কনে পক্ষ থেকে মোটা অংকের টাকার মাধ্যমে প্রশাসনকে ম্যানজের কথা বলে বোরহানউদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী মোস্তাক কাজীকে দিয়ে রাত ২ টায় গোপনে বিবাহ সম্পন্ন করান এবং পরবর্তীতে টাকা দিতে না পারায় তাদের কে হুমকি ও প্রদান করেন,এসময় তারা কাজী ও ইউপি সদস্যর বিচার ও দাবি করেন,এ ঘটনায় সাংবাদিকরা অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।