স্বপন কুমার রায়,খুলনা ব্যুরো প্রধানঃ দেখতে দেখতে পার হয়ে গেছে ১৪টি বছর।তবুও উপকুলীয় খুলনার কয়রা আর দাকোপ উপজেলার মানুষ এখনো ঘুর্ণিঝড় আইলার কথা মনে পড়লে আতংকে শিউরে উঠে উপকুলের বাসিন্দারা এখনো সেই ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে।আইলার কারণে সৃষ্টি হয়েছিল একটি শাখা নদী।যে কারণে বিঘার পর বিঘা জমি হারাতে হয়েছিল কয়রা ও দাকোপের বাসিন্দাদের।
এলাকাবাসী জানায়,২০০৭ সালের ঘুর্ণিঝড় সিডরের ক্ষত শুকিয়ে যাওয়ার আগেই ২০০৯ সালের ২৫ মে উপকুলীয় এলাকায় আঘাত
হানে আইলা।
খুলনা- সাতক্ষীরার বিস্তীর্ণ এলাকা তছনছ হয়ে যায়। মানুষ, ঘরবাড়ী,গবাদিপশু ভাসিয়ে নিয়ে যায়।স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে ১৪-১৫ ফুট বেশি উচ্চতায় লোনাপানি ঢুকে পড়ে লোকালয়ে।১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও ঘুর্ণিঝড় আইলার ক্ষত কাটিয়ে এখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেনি মানুষ গুলো। উপকুলে ক্ষতিগ্রস্হ এলাকায়বিশুদ্ধ খাবার পানি ও বেড়িবাঁধ নির্মাণের দুশ্চিতা
নিয়ে সংগ্রাম করে যেতে হচ্ছে স্হানীয়দের।সুপেয় পানির অভাব ও নানা মুখী সংকটে আইলায় বিধ্বস্ত উপকূলীয় জনপদ ধীরে ধীরে মানুষের অযোগ্য হয়ে উঠেছে।তথ্যমতে দেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রায় ৮ হাজার কিলোমাটার বাঁধ ঝুঁকিপুর্ণ অবস্হায় রয়েছে।ঘুর্ণিঝড় সিডর ও আইলার পর উপকূল এলাকার এসব বাঁধের অনেক জায়গা ভেসে গিয়েছিল, অনেক জায়গা প্রবল জোয়ারে ক্ষতিগ্রস্হ হয়েছিল সেসব ভেঙে যাওয়া অংশের অনেক জায়গা এখনো যথাযথভাবে মেরামত করা হয়নি। কালবগী এলাকার আজিজ মল্লিক, ও দীপক মন্ডলজানান আইলায় ভিটে বাড়ী বিলিন হওয়ার পর তাদের আর কোন জমি না থাকায় এখনো পানিউন্নয়ন বোর্ডের বেড়ীবাঁধের উপর পরিবার পরিজন নিয়ে বাস করছেন।সরকার পুনর বাসন নাদিলে আর কোন দিন তাদের ঘরে ফেরা হবেনা।সুতারখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুম আলী ফরির বলেন,ক্ষতিগ্রস্হ ৫০০ পরিবারের জায়গা জমি না থাকায় এখনো ঘরে ফিরতে পারেনিতারা পানিউন্নয়ন বোর্ডের বেড়ীবাঁধের উপর পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। কর্মসংস্হান না থাকায় তারা এলাকার বাইরে গিয়ে কাজকর্ম করে জিবীকা নির্বাহ করছে।
তাছাড়া জীবন ধারণে খাওয়ার পানির ও রয়েছে তিব্য সংকট।অনেকে বাধ্যহয়ে পুকুরের অনিরাপদ পানি পান করে থাকে।মান সম্নত জীবন ব্যবস্হার কিছুই নেই আইলা ক্ষতিগ্রস্হ এলাকায়।এ ছাড়া বিশ্বব্যাকের অর্থায়নে সরকার বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন
করছে। কিন্তু ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্হা না থাকায়
সেই বাঁধ হুমকির মুখে পড়ছে। কামার খোলা ইউনিয়ন টমপরিষদ চেয়ারম্যান পঞ্চানন মন্ডল বলেন আইলায় ক্ষতিগ্রস্হ ১৮৫ পরিবার এখনো পুরানো পানিউন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের উপর বাস
করছে।সরকারী খাস জায়গায় তাদের পুনর বাসনের চেষ্টা চলছে।