মোঃ মজিবর রহমান শেখঃ ঠাকুরগাঁও জেলায় ম্যাজিষ্ট্রেসী আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ও ঠাকুরগাঁও জেলার পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে “পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী” ফনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয় । ১০ জুন শনিবার ঠাকুরগাঁও জেলা জজ আদালতের সভা কক্ষে এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। ঠাকুরগাঁও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসীর আয়োজনে কনফারেন্সে ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিত্যানন্দ সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অ্যাপস) মো: আসাদুজ্জামান, বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস. রমেশ কুমার ডাগা, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: আলাউদ্দীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিথুন সরকার, ঠাকুরগাঁও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. মো: আব্দুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মো: জয়নাল আবেদীন, ঠাকুরগাঁও পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাড. শেখর কুমার রায়, ২৫০ শর্য্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা: নাঈম মো: কৌশিক, ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ কবির, ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারের জেলার খোন্দকার মো: আল-মামুন প্রমুখ। এছাড়াও ঠাকুরগাঁও জেলার ৭ থানার অফিসার ইনচার্জ, কোট ইন্সপেক্টর, সিআইডি কর্মকর্তা, ডিবি কর্মকর্তা, পিবিআই কর্মকর্তাসহ আদালতের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন।
কনফারেন্সে ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিত্যানন্দ সরকার বলেন, আমার পরিচয় হচ্ছে আমি একজন সেবক, জনগনের সেবক। আমার কাজটা হচ্ছে সেবা করা। বিচার বিভাগকে একটা আমগাছ বললে সেই গাছের শাখা প্রশাখা আমরা সবাই। আর সেই গাছের ফল খাবে জনগন। আমি মনে করি আমরা একটা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। আমাদের মধ্যে এ বিচার সেবাটা জনগনের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সরকারের যে ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, বিচারপ্রার্থী জনগনকে বিচার সেবা দেওয়ার জন্য যত প্রচেষ্টা করা হচ্ছে সেটার একটা অংশ হিসেবে আমাদের যে দায়িত্ববোধ, বিবেক এটাকে আমরা কাজে লাগাবো। সকলে কাধে কাধ মিলিয়ে যেভাবে আমরা সেবা দিয়ে যাচ্ছি এটাকে আমরা চলমান রাখবো। পুরাতন মামলাগুলো দ্রুত নিস্পত্তির মাধ্যমে আমরা সেগুলোকে শুন্যের কোটায় নিয়ে আসলে আমরা বলতে সক্ষম হবো আমরা সফল। আমরা সবাই একে অপরের পরিপুরক। আমরা সেবার মনমানুষিকতা নিয়ে সার্বিকভাবে কাজ করে গেলেই সফলকাম হবো।