এম এ হানিফ রানা,স্টাফ রিপোর্টারঃ এ যেনো মগের মুল্লুকে বসবাস। যে যেভাবে পারছে সেভাবে পন্যের দাম বাড়িয়ে গলা টিপে ধরছে সাধারণ মানুষদের। সরকারের বাজার মনিটরিং এবং তদারকি ব্যার্থ। লাগামহীন ভাবে বেড়েই চলছে নিত্য পন্যের দাম। আজ পেয়াজ বাড়ছে তো কাল তেল। এ যেনো সিন্ডিকেটের রমরমা বানিজ্যের রংচঙয়ে পোশাক পরে দাম বাড়ানো গান লিখে সেটার নৃত্য পরিবেশন চলছে। সম্প্রতি বাজার নিয়ন্ত্রণে অব্যবস্হাপনায় কঠোর সমালোচনায় জর্জরিত হোন বানিজ্য মন্ত্রী। সংসদে তার পদত্যাগ দাবি করা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী চাইলে তিনি পদত্যাগ করতেও রাজি বলে জানান।
এদিকে আজ বাদে কাল ঈদুল আজহা। সকল কিছুর দামতো আকাশ ছোয়া। নিত্যপন্যের দাম এতোটাই বেড়ে গেছে যে, সাধারণ মানুষের মাথায় হাত। নেই বাজার মনিটরিং। কালেভদ্রে মনিটরিং হলেও পরে আর কোন খোজ থাকেনা তাদের। আর জনগনের উর্ধগতির বাজারে নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে।
আসুন এবার চাঁদ রাতে বাজারের চালচিএ তুলে ধরার চেষ্টা করি,,, মাছ মাংশ মুরগি যাই পাক করেননা কেন কাচা মরিচ লাগবেই। কিন্তু সেই কাঁচা মরিচ ২-৩ দিনের ব্যবধানে দাম বেড়ে ৫০০ টাকায় ঠেকেছে। বড় সাইজের কলম্বো লেবু ২০০ টাকা হালি। দেশি শশা ৭০, হাইব্রিড ৫০, এরফান পোলার চাউল ১৪০ টাকা কেজি। আলু ৪০, রসুন ১৪০-১৬০,মশারি ডাউল ১৪০, শুকনো মরিচ ৪০০,সয়াবিন ১৯০ টাকা লিটার, চিনি পৌছেছে ১৪০ টাকায়,
তাছাড়া গরুর মাংশ ৮০০ ও খাসি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগীতে চুরি করা মনে হয় সহজ,, কোথাও ১৮০ তো কোথাও ২০০ ছাড়িয়ে। কেউ সাধু সাঝে কেউবা ভিলেন।
এদিকে দোকানিরা বলছেন সিন্ডিকেট যতক্ষণ না ভাঙ্গা হবে ততদুন বাজার স্বাভাবিক অবস্থায় আসবে না। আমরা তো গেমন ভাবে মজুদ রাখতেও পারি না। কিন্তু মধ্যভুগিরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এসব মজুদ রেখে কৃত্রিম ভাবে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে যার প্রভাব দৈনন্দিন বাজারে বেশ ভালোভাবে পরতে শুরু করেছে। আগে এক কেজি কিনলে এখন বাধ্য হয়ে আধা কেজি কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
ক্রেতারা দাম বাড়ার পিছনে সরাসরি সরকারি মনিটরিং সিস্টেমকে দায়ী করছেন। তারা বলছেন বাজারে কোন মনিটরিং নেই। যে যেভাবে পারছে দাম বারিয়ে দিচ্ছে। আজ একটা বারে তো কাল পাচটা বারে। কিন্তু আমাদের বেতন তো বারে না। আমাদের এখন মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে বাধ্য হয়ে। এমন ভাবে সবকিছুর দামই আকাশ ছোয়া। কাঁচা বাজার থেকে শুকনো বাজার। কসমেটিকস থেকে জামাকাপড়। কোথাও শান্তিতে নেই জনগন। সরকার যদি দ্রুত সঠিক ভাবে বাজার গুলো মনিটরিং এর আওতায় না আনেন তবে সাধারণ মানুষের জীবন যাপন দূর্বিষহ হয়ে উঠবে আরো। তাই দ্রুত এসবের দিকে সু নজর দেয়া উচিত বলে মনে করেন সবাই।