রনি মিয়া,স্টাফ রিপোর্টারঃ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের আঞ্চলিক মহাসড়কে একটি সেতুর একপাশের পাটাতন খুলে গেছে। এছাড়া সেতুর নিচের দিকে স্টিলের পাত ভেঙে ঝুলে আছে। দুর্ঘটনা এড়াতে ও সর্তকতার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে একটি খুঁটিতে লাল চিহৃ দিয়ে রাখলেও ভারী যানসহ সব ধরণের যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
রবিবার পাগলা-জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ আঞ্চলিক মহাড়কের জগন্নাথপুরের ইছগাঁও নামক এলাকায় কাঁটাগাঙ্গের ওপর নির্মিত বেইলি সেতুতে এমন অবস্থা দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর একপাশের একটি পাটাতনের নাট খুলে গেছে।
সেই সঙ্গে সেতুর নিচের দিকে স্টিলের পাত ভেঙে ঝুলে আছে, স্থানীয় লোকজন ওই ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে লাল কাপড় টানিয়ে রেখেছেন সর্তকতার জন্য।
কিন্তু ব্যস্ততম এই সেতু দিয়ে সব ধরণের যান চলাচল করছে, ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে মেরামতের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এমনকি সংশ্লিষ্ট কাউকেই দেখা যানি।
ওই এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গতকাল সকালের দিকে সেতুর পাটাতন ভেঙে পড়ে। সেতুটি সরু হওয়ার কারণে এমনিতেই প্রচন্ড যানজট সৃষ্টি হয়। এরমধ্যে কিছু দিন পরপর পাটাতন খুলে দেবে যাওয়া ও সেতুর সংযোগ সড়কেও গর্ত সৃষ্টি হয়ে প্রায় সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় জগন্নাথপুর সহ জেলাবাসিকে। এলাকাবাসীও সড়ক জনপথ অধিদপ্তর সূত্রে জানাযায়, গত বছরের নভেম্বর মাসে সিলেট বিভাগের দীর্ঘতম রানীগঞ্জ সেতু সহ সড়কের আটটি সেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনের মাধ্যমে সড়ক দিয়ে সরাসরি রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয়।
এ সড়ক দিয়ে সুনামগঞ্জ থেকে ৫২ কিলোমিটার কম দূরত্বে রাজধানীতে যাতায়াত করা যায়। সড়কের ভবভমি ও কাটাগাঙ্গের ওপর দুটি বেইলি সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সড়ক দিয়ে প্রায়ই যান চলাচল বিঘ্ন ঘটে।
জগন্নাথপুর উপজেলা পরিবহন শ্রমিক নেতা নিজামুল করিম জানান, আঞ্চলিক এ মহাসড়ক চালুর পর থেকে দিন দিন গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে। বড় বড় পরিবহনের সব কোম্পানির বাস সার্ভিস ছাড়াও এ সড়ক দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য জগন্নাথপুর তথা জেলা শহরে আসছে।
কাটাগাঙ্গের সেতুটি জোড়াতালি দিয়ে চালুর কারণে প্রায়ই যান চলাচল বিঘ্ন হয়, দ্রুত নতুন সেতু নির্মাণ দরকার। জগন্নাথপুর উপজেলা নাগরিক ফোরাম আহ্বায়ক নুরুল হক বলেন, ৫২ কিলোমিটার কম দূরত্বে সুনামগঞ্জবাসীকে রাজধানীতে যাতায়াত করার সুযোগ মাত্র একটি বেইলি সেতুর কারণে বিঘ্ন হচ্ছে। ঝুঁকি নিয়ে কাটাগাঙ্গের সেতুটি পার হতে ভয় করে। তিনি বলেন, প্রায়ই পাটাতন খুলে নদীতে পড়ে যায়। রবিবার সকাল থেকে পাটাতন খুলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম প্রামাণিক বলেন, সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর-আউশকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই বেইলি সেতুর মধ্যে ভমভমি বাজার এলাকার বেইলি সেতুর সাড়ে আট কোটি টাকা ব্যয়ে দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ করে কাজ শুরু হয়েছে।
কাটাগাঙ্গের ওপর বেইলি সেতুতে নতুন সেতু নির্মাণের প্রস্তাব পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। রবিবার সেতুর পাটাতন খুলে যাওয়ার খবর পেয়ে সংস্কারের উদ্যাগ নেওয়া হয়েছে।