পুঠিয়া উপজেলা প্রতিনিধি,মোঃ মিজানুর রহমান কালুঃ রাজশাহীর পুঠিয়ায় এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের বাদ দিয়ে অনির্বাচিত লোকদের নিয়ম বহির্ভূতভাবে ম্যানেজিং কমিটি তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায় যে,পুঠিয়া উপজেলার সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওই ঘটনা ঘটে।
এদিকে ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত স্কুলের প্রায় ৫০ জন সদস্য স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দায়ের করা হয়।
এছাড়াও পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের সামনের রাস্তায় অভিভাবকরা ওই ঘটনায় মানববন্ধন করেন।
ওই মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি একটি সুন্দর কমিটি গঠন করা হোক আর যারা নির্বাচিত সদস্য তাদের কমিটিতে রাখা হোক। যারা অনির্বাচিত তাদেরকে বাদ দিয়ে একটি বৈধ ও সুন্দর কমিটি গঠন করা হোক।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পুঠিয়া উপজেলার ৬নং জিউপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর সরঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীর অভিভাবক বৃন্দ । বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গত ১১/০৬/২৩ ইং তারিখে নোটিশের মাধ্যমে আমাদেরকে সকাল ১০ ঘটিকার সময় বিদ্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলে। উক্ত নোটিশে আরো বলা হয় যে সেই দিনেই অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত করা হবে।
আমাদের সকলের উপস্থিততে প্রধান শিক্ষকের অনুমতিক্রমে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মাহাবুবুর রহমান মিটিং পরিচালনা করেন। উক্ত মিটিং এ নির্ধারিত হয় যে, ছাত্র/ছাত্রীর অভিভাবকদের মধ্যে হতে ২জন পুরুষ ও ২জন মহিলা অভিভাবক সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হবেন। যারা প্রার্থী হবেন তাদের নাম প্রস্তাব করতে পারেন।
মহিলা সদস্যের প্রস্তাবকারী মোছাঃ বিথী, ০১। মোছাঃ তাসমিলার নাম প্রস্তাব করিলে সবাই হাত উঠিয়ে সমর্থন করেন। পরবর্তী প্রস্তাবকারী মোছাঃ ময়না বেগম, ০২। মোছাঃ কামরুন্নাহারের নাম প্রস্তাব করিলে সবাই হাত উঠিয়ে সমর্থন করেন। প্রতিপক্ষের কোন সমর্থন না থাকায় মোছাঃ তাসমিলা ও মোছাঃ কামরুন্নাহারকে অভিভাবক সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করা হইল বলে প্রধান শিক্ষক ঘোষনা দেন।
পরবর্তীতে সহঃশিক্ষক মাহাবুবুর রহমান পুরুষ ২জন অভিভাবক সদস্যের নাম প্রস্তাব করিতে বলে। প্রস্তাবকারী মোঃ
সুরুজ মিয়া, ০১। মোঃ রাজু আহমেদ এর নাম প্রস্তাব করে। নাম প্রস্তাব করিলে সবাই হাত উঠিয়ে সমর্থন করেন।
প্রস্তাবকারী মোঃ জামিল উদ্দিন, ০২। মোঃ আঃ কাদের এর নাম প্রস্তাব করিলে সবাই হাত উঠিয়ে সমর্থন করেন।
প্রতিপক্ষের কোন সমর্থন না থাকায় মোঃ রাজু আহমেদ ও মোঃ আঃ কাদেরকে অভিভাবক সদস্য হিসেবে নির্বাচিত
করা হইল বলে প্রধান শিক্ষক ঘোষনা দেন।করা হইল বলে প্রধান শিক্ষক ঘোষনা দেন।
সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সানোয়ার হোসেন ও সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান এবং প্রধান শিক্ষক মোছাঃ খাদিজা বেগম সহ চক্রান্ত করে তাদের সুবিধার জন্য নির্বাচিত সদস্যদের বাদ দিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমত সদস্য সংগ্রহ করে ম্যানেজিং কমিটি ও সভাপতি করার জন্য পায়তারা করিতেছে।
নিজেদের মত কমিটি গঠন করিতে পারলে প্রতি বৎসর সংস্কারের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ সরকারী ভাবে দেওয়া হয় উক্ত অর্থ ভাগবাটোআরা করতে সুবিধা হবে। প্রধান শিক্ষক শিক্ষা অফিসের অফিসারদের ম্যানেজ করে স্কুলে সময়মত না এসে ক্লাস ফাকি দেওয়ার মত সকল সুবিধা ভোগ করে। প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের যাদের কে সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করেছিলেন সেসকল সদস্যদের মিটিং এ না ডেকে গোপনে অন্যান্য সদস্যদের নকিটে গিয়ে রেজুলেমন বইতে স্বাক্ষর নিচ্ছে। প্রধান শিক্ষকের অনিয়মের কারনে বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান ক্ষুণ্য হচ্ছে।
এদিকে এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ খোদেজা খাতুন তিনি বলেন, আপনারাই বলুন এটা কি আমার করা সম্ভব অবশ্যই না। তারা যেভাবে চেয়েছে সেভাবেই হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে পুঠিয়া উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান তিনি বলেন, আমি আজকে ছুটিতে ছিলাম মানববন্ধন সম্পর্কে জানিনা। আমরা কেন অনির্বাচিত সদস্যদের রাখতে যাব। তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল, তফসিল ঘোষণা অনুসারে ব্যবস্থা করেছেন প্রধান শিক্ষক।
এখানে আমাদের চক্রান্ত করা বা স্বার্থ কি আছে। আর স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি স্কুলের লোকালিটির বিষয়।
এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে এ বি এম ছানোয়ার হোসেন বলেন, ওইভাবে এখানে কাউকে নির্বাচন করার স্কোপ নেই এখানে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হয়। আমার মনে হয় এটিও সাহেব যা করেছেন নিয়ম অনুসারে করেছেন।