রনি মিয়া,স্টাফ রিপোর্টারঃ কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি উদ্যোগে বিরোধীদলের উপর দমন পীড়ন ও নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকাল ১১ টায় শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন মিলন ও সাধারন সম্পাদক এড. নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়ে কালীবাড়ি মোড় এলাকায় আসলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পরে রায়পাড়ার মোড় এলাকায় সমাবেশ করে বিএনপি। এতে দলের সহযোগি সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলনের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুলের সঞ্চালনায় সমাবেশ বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী,জেলা বিএনপির সহসভাপতি নাদীর আহমদ,রেজাউল হক,সেলিম উদ্দিন,এড.শেরেনুর আলী,আবুল মনসুর মোহাম্মদ শওকত,আবুল কালাম,মো. আনিসুল হক,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নুর হোসেন,সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম কামরুল,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এড. জিয়াউর রহিম শাহিন,যুবদলের সাধারন সম্পাদক মামুনুর রশিদ কয়েছ,সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান রাজু,মমিনুল হক কালারচাঁন,তুফাজ্জল হোসেন,জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম পলাশ,জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম ও সদস্য সচিব তারেক মিয়া সহ সহযোগি সকল সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশে একটি অনির্বাচিত অগনতান্ত্রিক সরকার দেশের সাধারন জনগনের ভোটাধিকার হনন করে অবৈধভাবে গত প্রায় ১৫ বছর ধরে ক্ষমতা ধরে আছে।
তারা দিনের ভোট রাতে করে ক্ষমতায় এসে লুটপাঠের মহোৎসব শুরু করেছে। তারা আরো বলেন, দেশের মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা,গনতন্ত্র পূণরুদ্ধার এবং নির্দলীয় নিরপক্ষে তত্বাবধায়ক সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করে।
সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে একটি সঠিক নির্বাচন কমিশন গঠন করে এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেয়ার দাবি জানান সরকারের কাছে।
সরকার বিএনপির শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ হামলা,ভাংচুর,যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের উপর হামলা করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ নেতাদের।
সরকার পরিকল্পিতভাবে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিএনপির উপর দায় চাপাতে চায়। অবিলম্বে এই সরকারের পদত্যাগ দাবী করেন অন্যতায় রাজপথে থেকে দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবন না বলে হুশিয়ারী উচ্চারন করেন তারা।