মোঃ সিফাত হোসেন,পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দুমকিতে ফারজানা আক্তার(২২) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ওই গৃহবধূর স্বামী রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাসেল দাবী বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে মৃত্যু হয়েছে।
নিহত ফারজানা মির্জাগঞ্জ উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ফোরকান হোসেনের মেয়ে এবং স্বামী রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাসেল দুমকি উপজেলার কার্তিকপাশা গ্রামের মোসলেম সরদারের ছেলে।
সোমবার(৩১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার রাজাখালি বাজার সংলগ্ন সার্জেন্ট(অবঃ) আঃ হক হাওলাদারের ভাড়াটিয়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
বাড়ির মালিক আঃ হক হাওলাদারের স্ত্রী লিপি বেগম বলেন, সকালে আমি গোয়াল ঘরে দুধ দোহান করতে ছিলাম। এমন সময় আমাকে মেয়েটার(নিহত ফারজানার)স্বামী ডাকাডাকি করতে ছিল। গিয়ে দেখি – মেয়েটা স্বামীর কোলে, মাথায় তেল-পানি দিতেছে। দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার জন্য বলে বাসায় এসেছি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, গত ৫/৬ দিন আগে আমাদের বাসায় যখন ভাড়া ওঠে তখনই ওই মেয়েটা( নিহত ফারজানা) বলছিল যে, আমার মৃগীর সমস্যা আছে। এমন সমস্যা হলে আমাকে যেন দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়।
অপর দিকে নিহতের স্বামী রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাসেল বলেন, সকালে ঘুমের মধ্যে একটি চিৎকারের শব্দ শুনে দৌড়ে গিয়ে দেখি সে(নিহত ফারজানা) মাটিতে পড়ে আছে এবং কোকাচ্ছে। পরে অপর ভাড়াটিয়া রাসেদ ও তার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই।
ডাক্তারের কাছে হাসপাতালে গিয়ে বৈদ্যুতিক শক খেয়েছে এমন দাবি করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করে বলেন, ডাক্তারকে বলেছি কারেন্টে ধরেছে মনে হয়।
তিনি আরও বলেন, বাসার বাইরে বাথরুমের সাথে যেখানে ফারজানা পড়ে গিয়েছে সেখানে গাড়ির লাইন ছিল।
এখানে কোন গাড়ির লাইন নেই এমন কথা প্রতিবেদক বললে নিহতের স্বামী রাসেল এ কথার কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, ফারজানার মৃত্যু রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি জেলা সদরে পাঠানো হবে। তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।