মোঃ খলিলুর রহমান,সাতক্ষীরাঃ গভীর নিম্নচাপের প্রভাব আর বৈরী আবহাওয়া কারনে বঙ্গোপসাগরে ট্রলারের ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে ভাসতে থাকা ৯জন জেলেকে মান্দারবাড়িয়া এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে বন বিভাগের সদস্যরা। গত ২আগস্ট সকাল ১০টার দিকে তাদেরকে উদ্ধারের পর শুক্রবার (৪ আগষ্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জ কার্যালয়ে আনা হয়। সেখান থেকে এসব জেলেদের ছেড়ে দেয়া হয়ে বলে জানান বনবিভাগের কর্মকর্তারা।
উদ্ধারকৃত জেলেরা হলেন, পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার হোগলপাতি গ্রামে মৃত মজিদের ছেলে খলিল, খলিলের ছেলে মানিক, দুলাল ও হেলাল, একই গ্রামের জয়নালের ছেলে আলাউদ্দিন, রশিত এর ছেলে ছায়েদ, সুনামিয়ার পুত্র খলিল, উলুবেরিয়া গ্রামের কাদের বিশ্বাসের পুত্র শহিদুল ইসলাম, বাগেরহাট জেলার শরণখোলা থানার বকুলতলা গ্রামের লতিফ মৃধা এর ছেলে জিয়া উদ্দিন মৃধা।
উদ্ধারকৃত জেলেরা বলেন, ইলিশ মাছ ধরার জন্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানকালে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে পড়ি। এরমধ্যে আমাদের ট্রলারের ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়। সাগরেই ভাসতে থাকি। একপর্যায়ে জীবনে বেঁচে ফিররো এমন আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। পরে ভাগ্যক্রমে মান্দারবাড়িয়া ফাঁড়ির বন বিভাগের একটি টহল টিমের নজরে পড়লে তারা উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
সাতক্ষীরা রেঞ্জের পশ্চিম সুন্দরবনের সহকারী বনসংরক্ষক এম কে এম ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, ৯জন জেলেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তারা সাগরে ভাসতে ভাসতে সাতক্ষীরা রেঞ্জের বাহির মান্দারবাড়িয়া এলাকায় পৌঁছায়। সেখানে বন ফাঁড়ির একটি টহল দল বুধবার তাদের উদ্ধার করে। এরপর থেকে তারা বন বিভাগের হেফাজতে ছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের নিরাপদে মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। তাদের কাছে ইলিশ মাছ ধরার পাশ পারমিট পাওয়া গেছে। বৈধভাবেই সাগরে মাছ ধরছিলেন এসব জেলেরা।
ট্রলারের মাঝি খলিল বলেন. বনবিভাগের সহযোগিতায় আমারা গ্রাণ ফিরে পেয়েছি, তিন দিন সাগরে ভাসা অবস্থায় আমারা প্রাণের মায়া ছেড়ে দিয়ে ছিলাম। বনবিভাগের সদস্যদের দেখাপেয়ে নতুন করে বাঁচার উপায় খুঁজে পেলাম।