বুধবার (৩০ আগস্ট) সকালে বাংলাদেশের স্কোয়াডে বিজয়ের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি জানিয়েছে বিসিবি। দলের সঙ্গে ক্যান্ডিতে যোগ দিতে আজই ঢাকা ছাড়বেন বিজয়।
সবশেষ ডিপিএলে বিজয়ের ব্যাট থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৩৪ রান এসেছিল। যেখানে তিন সেঞ্চুরির সঙ্গে ছিলেন তিনটি হাফ সেঞ্চুরিও। ৯৭.৩১ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছিলেন বিজয়। এমন পারফরম্যান্সের পরও জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পাননি তিনি। কদিন আগে জানা যায় শৃঙ্খলা ভঙের দায়ে ক্যাম্পে রাখা হয়নি বিজয়কে।
অবশেষে লিটন ছিটকে যাওয়ায় কপাল খুলেছে ডানহাতি এই ব্যাটারের। ফলে দ্রুতই শ্রীলঙ্কার বিমান ধরবেন বিজয়। এদিকে সবশেষ গত ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলেছেন তিনি। মোহাম্মদ সিরাজদের বিপক্ষে সেই সিরিজে তিন ম্যাচে সব মিলিয়ে ৩০ রান করেছিলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
এর আগে জিম্বাবুয়ে সফরে দুটি হাফ সেঞ্চুরি করলেও ভারতের বিপক্ষে ভালো করতে না পারায় বাদ পড়তে হয় বিজয়কে। গত বছর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) ১১৩৮ রান করে লিস্ট ‘এ’ টুর্নামেন্টে এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি রান করার বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিলেন বিজয়। সেই পারফরম্যান্সই তাকে ২০১৯ সালের পর জাতীয় দলে ঢুকতে সহায়তা করেছিল।
বিজয়কে অন্তর্ভুক্ত করার প্রসঙ্গে বিসিবির নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, বিজয় আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত রান করেছে, বিসিবির পর্যবেক্ষণেও ছিল। লিটন এশিয়া কাপে খেলতে পারছে না, তাই বিজয়কে আমরা স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করেছি।
যদিও খুব বেশিদিন জাতীয় দলে জায়গা ধরে রাখতে পারেননি। বিশ্বকাপের আগে ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলে নিজেকে ভালোভাবে প্রমাণের চ্যালেঞ্জ থাকবে তার সামনে। ব্যাক আপ ওপেনার হিসেবে বিশ্বকাপের বিমান ধরবে এশিয়া কাপে ভালো করার বিকল্প নেই বিজয়ের হাতে।
এশিয়া কাপে খেলতে না পারলেও নিউজিল্যান্ড সিরিজে দেখা যাবে লিটনকে। সেই সিরিজে ফিরতে পারেন তামিম ইকবাল। চোট থেকে পুরোপুরি সেরে উঠতে না পারায় এশিয়া কাপে নেই বাংলাদেশের সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক। সুস্থ হয়ে উঠতে পারলে বিশ্বকাপেও খেলবেন তিনি। ওপেনিংয়ে তার সঙ্গী হিসেবে থাকবেন লিটন।
এদিকে বিজয় ছাড়াও এশিয়া কাপের স্কোয়াডে ওপেনার হিসেবে আছেন তানজিদ হাসান তামিম এবং নাইম শেখ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে তাদের দুজনকেই দেখা যেতে পারে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে। গত ইমার্জিং এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে ওপেন করেছিলেন তারা দুজন।