আলমগীর ইসলামাবাদী,চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ বিয়ে ছালা দুটো পরিবার থেকে একটা পুরুষ আর একটা মহিলার স্বীকৃত বন্ধনের দ্বারা নতুন একটা পরিবার গঠন করা। ব্যাপারটি ত সহজ মনে হয়। বিয়ে কথা উঠলে ততটা সহজ মনে হয়না। পরিসংখ্যান পর তারা দেখা যায়। পৃথিবীতে পুরুষ একশ পাঁচ থেকে রা মহিলার জন্য একশজনা ভেদে কিছুটা হেরফের হয়। যুদ্ধ বিগ্ৰহ ঘটনাসহ বিভিন্ন কারনে পুরুষের মৃত্যু হার বেশী দেখা যায় নারী পুরুষের আনুপাতিক হার প্রায় সমান সমান তাহলে বিবাহ সহজ হওয়ার কথা সৃষ্টির আদিকাল থেকে হজরত আদম আলাইহিস সালাম সন্তানদের বিয়ে পদ্ধতি চালু করেন। পৃথিবীর সব ধর্মের বিয়ের রীতিনীতির মাধ্যমে সম্পূর্ণ করাতে দেখা যায়। এভাবে ধর্মীয় এবং নীতি নৈতিকতার মাধ্যমে চললে সমাজ এবং রাষ্ট্র শংখল ভাবে চলবে। প্রাপ্ত বাজে ছেলে মেয়ে যতই দেখা যাক বিশেষ পাত্র পাত্রি যোগানো অনেক কঠিন হয়ে যায়। দুটো জীবন একেবারেই ভিন্ন পরিবেশ থেকে সারা জীবন একত্রে একমতে জীবন কাটাবে। রাসুল্লাল্লা আলাইহিস সালাম বলেছেন, বিয়ের ব্যাপারে সমতা রক্ষা করতে। সব দিক বিবেচনা করতে যেয়ে দ্বিপক্ষীয় অনেক সময় চলে যায়। সব ছেলেই চায় সুন্দরী ও লম্বা পাত্রি অন্যদিকে কিছুটা ছাড় দেয়া যায়। মেয়েদের অভিভাবক চায় ছেলের ভাল আয়। যারা সচেতন অভিভাবক শুধুই তারাই ছেলেমেয়ের পারিবারিক ঐতিহ্য স্বভাব, চরিত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতা গুলো বিবেচনা করে। বিয়ের আগে পাত্র পাত্রি একে অন্যকে দেখে নেয়া ভাল। পরে পছন্দ অপছন্দের প্রশ্ন উঠবেনা।
বিয়ের শর্ত হল তিনটি কনের এজাজত বা অনুমতি গ্রহণ, যা স্পষ্ট হতে হবে, নিরব সম্মতি বা ইশারা ইঙ্গিতে নয়। দ্বিতীয় হলো দেনমোহর, তৃতীয় হলো বরকে সবার উপস্থিতিতে কনের পরিচয় শুনিয়ে দেনমোহর বলে কবুল বলা । পরে মুসলিম পারিবারিক এবং রাষ্ট্রিয় আইনে কাবিন রেজিস্টার করা। অনেকে এটাকে বলে বিয়ের কলেমা । আসলে বিয়েতে কোন কলেমা পড়তে হ্যানা। বিয়েতে কনের এজাজত নিয়ে আসে অভিভাবকের পক্ষ থেকে একজন যাকে বলা হয় ওলী। হাদিস গ্রন্থ গুলোতে দেখা যায়, গুণী বা অভিভাবকের সম্মতির উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। অভিভাবকের সম্মতিতে এবং উপস্থিতিতে বিবাহ সম্পূর্ন করতে হলে দায়বদ্ধতাই বেশী থাকে। ইসলামী চিন্তাবিদরা কুরআন হাদিসের সমর্থনে সিদ্ধান্ত নেন। কোন মহিলা নিজের অথবা অন্য কোন কারো বিবাহ দিতে পারবেনা। এবং শুধু মাত্র মহিলার কথা দ্বারা আকদ বা বিবাহ বন্ধন কার্য অনুষ্ঠিত হবেনা। কারন আকদ সহীহ (GE) হওয়ার ব্যাপারে স্তনীর প্রয়োজন। কোন মহিলার যদি ওলী না থাকে তাহলে দেশের সরকারই হবে ।
কুরআনে নারীকে মোহরানা দিয়ে বিয়ে করতে আদেশ দেয়া হয়েছে। এই জন্য মোহরানা দেয়া ওয়াজীব (র) মোহরানা আদায় করতে হবে সদিচ্ছা ও আন্তরিকতার সাথে এটা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে নারাদের এক নেয়ামত। মোহরানার পরিমান কত হওয়া উচিত ইসলামী শরীয়তে এই সম্পর্কে অকাট্য নির্দেশ দেয়া হয়নি। তবে এ কথা তার যে, প্রতিটি স্বামীর কর্তব্য হলো তার সামথা ও স্বীয় মর্যাদার নিকে লক্ষ্য রেখে উভয় পক্ষের সম্মতিতে খুব সহজে রাজী হয়ে যাওয়া। এ ব্যাপারে শরীয়ত উভয় পক্ষকে পূর্ণ স্বাধীনত দিয়েছে। বাসুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহিস সালাম মোহরানার পরিমান নির্দিষ্ট করে দেননি। এই কারনে যে, লোকদের আগ্রহ, উৎসাহ ও উদারতার মান কখনও এক হতে পারেনা। হযরত ওমর (রাঃ) মোহরানা সম্পর্কে বিশেষ যত্নবান ছিলেন। একদা তিনি মিশরের উপর দাড়িয়ে বলেছিলেন, মোহরানা ৪৮। দেবাহান ১২৬ ভরি রুপার সমান ভাষা করার ইচ্ছা করেছিলেন। তখন একজন কোরানের আয়াত উল্লেখ করে তার প্রতিবাদ করে বলেন আল্লাহপাক কুরআনে তাদেরকে বেশী পরিমান সম্পদ দিতে বলেছেন। পরে ওমর রাঃ ঘিরে উঠে ভুল স্বীকার করে সংশোধন করে বলে, কেউ ইচ্ছে করলে আরো বেশী পরিমান দিতে পারবে।
জাহেলিয়াতের যুগে কনের পিতা, ভাই বা অন্যান্যর ভুল করে মোহরানার সম্পদ নিয়ে যেত, ইসলাম ধাगা করছে এ সম্পদ শুধু কনেরই প্রাপ্য। আমাদের দেশে প্রচলিত আছে মোহরানার সম্পদ কাবিন নামার আংশিক পরিশোধ বা ও উসুল শব্দ ব্যবহার হয়েছে। তাহলে ধার্যকৃত সম্পদ কি বাকী থাকবে? ইসলামী শরায়া মতে মোহরানার সম্পন্ন আনার না হলে স্ত্রী আমার জানা হালাল হবেনা। কেউ যদি বাসর রাতে মোহরানার নারী ঢাকা স্ত্রীর কাছে মাফ চেয়ে মুক্তি পেতে চায় তা হবে অনেকটা নববধুকে জিম্মী করে স্বীকারোক্তি আদায় করা। অনেকে মোহরানার টাকা অতিরিক্ত ধার্য করে যা পরে আইন আদালতের মাধ্যমে আদায় করা দুরুহ ব্যাপার হয়ে দাড়ায়। কোথাও কোথাও দেখা গেছে কনে পরিকল্পিতভাবে বড় অংকের টাকা ধার্য করে বিয়ের পরে ভালাক দিতে বাধ্য করে কাবিনের টাকা আদায় করার জন্য। কুরআনে মারাকে মোহরানা দিয়ে বিয়ে করতে আদেশ দেয়া হয়েছে। এই জন্য মোহরানা দেখা ওয়াজীব (রা) মোহরানা আদায় করতে হবে সদিচ্ছা ও আন্তরিকতার সাথে এটা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে নারীদের এক নেয়ামত। মোহরানার পরিমান কত হওয়া উচিত ইসলাম শরীয়াতে এই সম্পর্কে অকাট্য নির্দেশ দেয়া হয়নি। তবে এ কথা স্পষ্ট যে, প্রতিটি স্বামীর কর্তব্য হলো তার সামর্থ্য ও স্বীয় মর্যাদার দিতে লক্ষ্য রেখে উভয় পক্ষের সম্মতিতে খুব সহজে রাজী হয়ে যাওয়া। এ ব্যাপারে শরীয়ত উভয় পক্ষকে পূর্ণ স্বাধীনত দিয়েছে। রাসুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহিস সালাম মোহরানার পরিমান নির্দিষ্ট করে দেননি। এই কারনে যে, লোকদের আগ্রহ, উৎসাহ ও উদারতার মান কখনও এক হতে পারেনা। হযরত ওমর (রাঃ) মোহরানা সম্পর্কে বিশেষ যত্নবান ছিলেন। একদা তিনি মিম্বরের উপর দাড়িয়ে বলেছিলেন, মোহরানা ৪৮০ দেরহাম ১২৬ ভরি রুপার সমান ধায্য করার ইচ্ছা করেছিলেন। তখন একজন কোরানের আয়াত উল্লেখ করে তার প্রতিবাদ করে বলেন আল্লাহপাক কুরআানে তাদেরকে বেশী পরিমান সম্পদ দিতে বলেছেন। পরে ওমর রাঃ মিম্বরে উঠে ভুল স্বীকার করে, সংশোধন করে বলে, কেউ ইচ্ছে করলে আরো বেশী পরিমান দিতে পারবে।
ভায়েলিয়াতের যুগে কনের পিতা, ভাই বা অন্যান্যরা ভূল করে মোহরানার সম্পদ নিয়ে যেত, ইসলাম ধায্য করছে এ সম্পদ শুধু কনেরই প্রাপ্য। আমাদের দেশে প্রচলিত আছে মোহরানার সম্পদ কাবিন নামার আংশিক পরিশোধ বা ও উসূল শব্দ ব্যবহার হয়েছে। তাহলে ধার্যকৃত সম্পদ কি বাকী থাকবে? ইসলামী শরীয়া মতে মোহরানার সম্পদ আদায় না হলে স্ত্রী স্বামী হবেনা। কেউ যদি বাসর রাতে মোহরানার থাকা টাকা স্ত্রীর কাছে মাফ চেয়ে মুক্তি পেতে চায় তা হবে অনেকটা নববধুকে জিম্মী করে স্বীকারোডি আদায় করা। অনেকে মোহরানার টাকা অতিরিক্ত ধার্য্য করে যা পরে আইন আদালতের মাধ্যমে আদায় করা দুরুহ ব্যাপার হয়ে দাড়ায়। কোথাও কোথাও দেখা
গেছে কনে পরিকল্পিতভাবে বড় অংকের টাকা ধার্য করে বিয়ের পরে হালার দিতে বাধ্য করে কাবিনের টাকা আদায় করার জন্য । বিবাহে ওলিমার অনুষ্ঠান বা ওয়ার ব্যবস্থা করা সুন্নত। সুন্নত মানে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আঃ যেভাবে করেছেন সেভাবে করা। আশিমার ব্যবস্থা করবে বরপক্ষ, জোর করে কনে পক্ষের উপর চাপিয়ে দেয়া নয়। হাজার হাজার বরপক্ষের লোককে যাওয়ার মেনুগ্রহ ঠিক করে ভূরি ভোজ কনে পক্ষের থেকে আদায় করা এক প্রকার জুলম হল সামর্থ্য অনুযায়ী তার বিয়েতে ওলীমা খাইয়েছেন মাত্র চারজনকে। বিয়ের পরে বরপক্ষ বৌ ভাত নামে বাড়তি আরেকটি অনুষ্ঠান না করে এটাকে বিয়ের দিন করতে পারে। গায়ে হলুদের নামে আরেকটি পূর্ণ অনুষ্ঠান বেশী টাকা ওয়ালাদের অপব্যয়ের অনুষ্ঠান গুলো কারনে বর্তমান বিয়ের ব্যাটা অনেক কঠিন হয়ে দিক চিন্তা করে ধনী ও গরিব সবার বিয়ের বেশী আনুষ্ঠানিকতা ও অপব্যায় বর্জন করলে সামাজিক ভারসাম্য রক্ষা হবে। বিয়ের অতিরিক্ত খরচ পারিবারিক অন্য খাতে কাজে লাগাৰে ।
লেখক:-
মানবাধিকার কর্মী
ইঞ্জিনিয়ার আবু ইউসুফ মজুমদার (মানিক)
বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও ইতিহাস গবেষক