পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তরা অন্যায় করলে জেল খেটেছে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, শ্রমিকদের টাকা দেননি বলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার হচ্ছে।
রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ফেসবুকে অপপ্রচার করা হচ্ছে যে, ইউনূস সাহেব কেয়ারটেকার সরকারের প্রধান হয়েছেন। এগুলো গুজব। নোবেল লরিয়েটরা সারা দুনিয়াতে অন্যায় করলে জেল খেটেছে। আমাদের বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ। তিনি শ্রমিকদের টাকা দেন নি, সেটার জন্য বিচার হচ্ছে। শ্রমিকের লভ্যাংশ যিনি জালিয়াতি করেছেন। তাই তিনি আইনের ঊর্ধ্বে নন।’
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান শান্তিতে নোবেল জয়ী মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার জনের বিরুদ্ধে গত ৬ জুন অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার শ্রম আদালত। এই অভিযোগ বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন ইউনূস। আদালত তা আমলে না নেয়নি। ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচার প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে খোলা চিঠি দেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৬০ জন বিশিষ্ট নাগরিক।
এই খোলা চিঠির সমালোচনা করছে দেশের বিভিন্ন মহল। সরকারের মন্ত্রীরাও বলেছেন, এভাবে চিঠি দিয়ে বিচার ‘বন্ধ’ করতে বলা অনুচিত।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিচার প্রক্রিয়া বন্ধের কথা বলে তারা আমাদের স্বাধীনতাকে অসম্মান করেছে। এটে মেনে নেয়া যায় না। দেশের সচেতন মানুষ তার প্রতিবাদ করছে।’
আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী ভোট হবে। স্বাধীন ইসি তাদের আইন মতে তফশিল ঘোষণা করবে। আওয়ামী লীগ ভোট করবে। বিএনপির উদ্দেশ্য হল সাংবিধানিক যাত্রাকে ভন্ডুল করা। বিগত দুটি নির্বাচন ভন্ডুলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। আবার সেটা করলে জনগণ প্রতিহত করবে। রাজনীতিক দল হিসাবে বিএনপির ভোট বর্জনের অধিকার আছে। তবে রাজনেতিক দল ভোটে না আসলে তাদের জন্য সেটা ভালো নয়, গণতন্ত্রের জন্য ভালো নয়। ভোট প্রতিহত করলে জনগণ তাদের প্রতিহত করবে। বিএনপির নির্বাচনে অংশ নিক এটাই আশা করি।’
‘যারা ষড়যন্ত্র করে তারা না করে থাকতে পারে না। সরকার ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে এগিয়ে যাচ্ছে। বিডিআর বিদ্রোহ থেকে শুরু করে নানা ইস্যুতে তারা বসে নেই। ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবরা ফের সক্রিয় হয়েছে। সরকার সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি চোখ থাকতেও উন্নয়ন দেখে না। দেশে সত্যিকার উন্নয়ন হচ্ছে। এলিভেটেড সড়ক উদ্বোধন তার প্রমাণ। এই বিষয় নিয়ে বিএনপির প্রতিক্রিায়ার অপেক্ষা করছেন বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘দুটি সমাবেশে মানুষ দেখে প্রমাণ পাওয়া যায়। দেশবাসী সরকারের সাথে, নৌকার সাথে আছে।’
‘সমস্ত দেশের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা আমাদের লক্ষ্য। ভোটের সাথে পররাষ্ট্রনীতির বিষয় থাকে না। আমরা সকল দেশের সাথে সুসম্পর্কে বিশ্বাসী।’