মোঃ খলিলুর রহমান,সাতক্ষীরাঃ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকাল পাঁচটায় সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সর্বস্তরের সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করে।
উক্ত মানববন্ধনে মেডিকেল কলেজের সামনের দোকান ব্যবসায়ী আজিজুল ইসলাম বাবু বলেন, অনিয়ম দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার আখড়ায় পরিণত হয়েছে সামেক হাসপাতাল। এখানে রোগীরা চিকিৎসা পায় না, ঔষধ পায় না। অন্যদিকে প্রায়শই দেখা যায় ইন্টার্ন ডাক্তার ও নার্সরা মেডিকেলের স্টোর থেকে ওষুধ বের করে বাইরে বিক্রি করছে। অথচ সাধারণ মানুষ একটা পাঁচ টাকার সিরিঞ্জ পায় না। হাসপাতালের বাথরুমগুলো খুবই অপরিষ্কার। মেডিকেলে সরবরাহ করা টয়লেট ক্লিনার ও ঝাড়ু আউটসোর্সিং এর কর্মীরা বাইরে এনে বিক্রি করে দেয়। বারবার হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এসব বিষয়গুলো উঠে আসলেও কোন প্রতিকার হয় না। আমরা আমাদের মেডিকেল থেকে সুস্বাস্থ্যসেবা পেতে চাই।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী আলাউদ্দিন গাজী বলেন, প্রতিনিয়ত মেডিকেল কলেজ থেকে ঔষুধ বাইরে বিক্রি করে মেডিকেলের স্টাফ ও নার্স। ফলে সাধারণ জনগন চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। আমরা এর প্রতিকার চাই।
ভুক্তভোগী মনজুয়ারা জানান, আমার নাতিকে রবিবার রাতে সামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে মেডিকেলের ৬ তলায় শিশু ওয়ার্ডে রেফার করা হলে সেখানে বাচ্চাকে নিয়ে যাই। মুমূর্ষ অবস্থায় ভর্তি করার পরও স্টাফ ও নার্সরা সেবা না দিয়ে গল্প করতে থাকে। আমি তাদেরকে বাচ্চাটার দিকে খেয়াল করার জন্য অনুরোধ করলে তারা আমাকে বকাঝকা করে। এ সময় তাদের সাথে দুইজন আনসার সদস্য যোগ দেয়। এক পর্যায়ে আমাদের হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়। এ সময় আমিও আর আমার মেয়ে আহত হই।
ভুক্তভোগী রায়হান জানান, আমার বাচ্চাকে গুরুতর অবস্থায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ভালোভাবে চিকিৎসা না করে পর দিনেই তাকে রিলিজ দিয়ে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আমি রিলিজ না নিলে নাসারা আমার সাথে, আমার স্ত্রী ও আত্মীয়-স্বজনদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। প্রত্যেকের সাথে এরকম আচরণ করছে তারা।