বিশেষ প্রতিনিধি । জাকিরুল ইসলাম । ঢাকা
জি-২০ সম্মেলনে সাইডলাইনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বৈঠক নিয়ে কথা বলেছেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ওই বৈঠকের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জবাব দেন মিলার।
তিনি বলেন, সাধারণ চর্চা যেটা কোনো নেতার সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বৈঠক হলে হোয়াইট হাউস সেটা জানায়।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সাথে সেলফি তুলছেন- সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এমন কয়েকটি আলোকচিত্র নিয়ে আলোচনা ও পর্যালোচনার ঝড় উঠেছে বাংলাদেশে।
দেশের সরকার সমর্থক রাজনৈতিক কর্মী-সমর্থক এবং গণমাধ্যম কর্মীদের অনেকেই এসব ছবি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে শেয়ার করছেন।
কেউ কেউ নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে শেখ হাসিনা সরকারের সম্পর্ক ভালো হয়ে যাবার প্রমাণ হিসেবে এ সেলফিকে বর্ণনা করছেন। আবার কেউ কেউ এটিকে ‘নয়াদিল্লির সাফল্য’ হিসেবেও প্রচার করছেন।
তবে এ নিয়ে সরকার সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে রীতিমত প্রচার যুদ্ধ চলছে সামাজিক মাধ্যমে।
এদিকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ঢাকা সফর ও দক্ষিণ এশিয়ায় মার্কিন হস্তক্ষেপ রোধে ল্যাভরভের হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে কথা বলেছেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত দুই প্রতিবেশীর ওপর হামলা চালিয়ে রাশিয়া নিজেই অন্য দেশে হস্তক্ষেপ করছে। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন মন্তব্য সচেতনভাবে করেননি বলেও মতো মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের। বাংলাদেশে জবাবদিহিতা নিশ্চিতে নিয়োজিত সাংবাদিকদের ওপর পদ্ধতিগত নিপীড়নের বিষয়টিতে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন বলেও জানান মিলার।
মিলার বলেন- রাশিয়ার প্রতি সম্মান রেখেই বলব, আমার মনে হয় না, দেশটি প্রতিবেশী দুই দেশ দখল করতে গিয়ে প্রতিদিন স্কুল-হাসপাতাল বা অ্যাপার্টমেন্টে বোমা হামলায় জড়িত-তাদের অন্যদেশে হস্তক্ষেপ বিষয়ে কিছু বলা উচিত। মুক্ত-সমৃদ্ধ ও নিরাপদ ইন্দো প্যাসিফিক গড়াই ওয়াশিংটনের লক্ষ্য। আর এক্ষেত্রে বাংলাদেশও যুক্তরাষ্ট্রের মতো একই দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে।