এশিয়া কাপের সবচেয়ে সফল দল ভারত। সাতবারের চ্যাম্পিয়ন এবং তিনবারের রানার্সআপ। এবার ১১তম বারের মতো ফাইনালে উঠেছে দলটি। ১৭ সেপ্টেম্বর অষ্টম শিরোপা জয়ের জন্য খেলবে রোহিত শর্মার ভারত। সুপার ফোরে টানা দুই ম্যাচে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে রোহিত বাহিনী।
রবিবারের ফাইনালের প্রতিপক্ষ হতে আজ অলিখিত সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। পাকিস্তান পাচ্ছে না দুই পেসার হারিস রউফ ও নাসিম শাহকে। দুজনেই ইনজুরিতে ছিটকে পড়েছেন আসর থেকে। দুই দলই সুপার ফোরে হারিয়েছে বাংলাদেশকে। দুই দল হেরেছে ভারতের কাছে। দুই দলের আজকের ম্যাচের জয়ী দল ফাইনাল খেলবে। অবশ্য ম্যাচ ‘টাই’ কিংবা পরিত্যক্ত হলে শ্রীলঙ্কা খেলবে ফাইনাল। কেননা পাকিস্তানের চেয়ে রান রেটে এগিয়ে দাসুন শানাকার দ্বীপরাষ্ট্র। দুই জয়ে ভারতের রান রেট ২.৬৮০। এক জয় ও এক হারে শ্রীলঙ্কার রান রেট -০.২০০ এবং পাকিস্তানের রান রেট -১.৮৯২। দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন এবং ছয়বারের রানার্সআপ। পাকিস্তান দুবারের চ্যাম্পিয়ন ও তিনবারের রানার্সআপ।
সুপার ফোরে প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কা ২১ রানে হারায় বাংলাদেশকে। প্রথমে ব্যাটিংয়ে ৯ উইকেটে ২৫৭ রান করে স্বাগতিকরা। জবাবে টাইগাররা অলআউট হয় ২৩৬ রানে। ভারতের বিরুদ্ধে জয়ের আশা জাগিয়েও দ্বীপরাষ্ট্র হেরে যায় ৪১ রানে। ভারতকে ২১৩ রানে অলআউট করে নিজেরা অলআউট হয় ১৭২ রানে। পাকিস্তান প্রথম ম্যাচে সাকিব বাহিনীকে হারায় ৭ উইকেটে। পাকিস্তানি পেসারদের গতিতে নাকাল হয়ে টাইগাররা ১৯৩ রান করে। সেটা বাবর বাহিনী টপকে যায় ৩৯.৩ ওভারে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগেই অসহায় ছিল বাবর বাহিনী। প্রথমে ব্যাট করে ভারতের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৩৫৬ রান। জোড়া সেঞ্চুরি করেছিলেন লোকেশ রাহুল ও বিরাট কোহলি। জবাবে পাকিস্তান অলআউট হয় মাত্র ১২৮ রানে। দুই দলের লড়াইয়ের আদলে লঙ্কান ব্যাটারদের পরীক্ষা দিতে হবে পাকিস্তানি পেসারদের গতির। বিপরীতে বাবর, রিজওয়ানদের পরীক্ষা দিতে হবে লঙ্কান বৈচিত্র্যময় বোলিংয়ের।