এস এম মাসুদ রানা,বিরামপুর,দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ উত্তরের জেলা দিনাজপুরে কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির কারণে নদনদীর পানি বাড়ছে। জেলার প্রধান তিনটি নদীর মধ্যে পুনর্ভবা নদী বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। এর ফলে নদী তীরবর্তী শত শত পরিবার গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে। তাদের মাঝে দেখা গিয়েছে শুকনা খাবারের সংকট। এই বিপদের মুহুর্তে পাশে দাঁড়িয়েছে দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। পানিবন্দী মানুষদের মাঝে শুকনো খাবারসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করছেন জেলা প্রশাসন।
সোমবার (২৫ সেপ্টেস্বর) দুপুর ২টায় দিনাজপুর সদর উপজেলার ৬নং আউলিয়াপুর ইউনিয়নের নতুনপাড়া ও খামার কাচাই এলাকার সাড়ে ৩ শতাধিক পানিবন্দীর মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবাশীষ চৌধুরী, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোঃ আনিছুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রমিজ আলম, সহকারী কমিশনার (ভুমি) সাথী দাস, কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদ হোসেন, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জসিম হোসেন ও ৬নং আউলিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ বলেন, “গত দুই দিন ভারী বর্ষণের ফলে দিনাজপুর শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা গতকালও পানিবন্দী মানুষের মাঝে খিচুড়ি ও ত্রাণ বিতরণ করেছি। আজকে পুনর্ভবা নদীর কয়েকটি স্থানে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় যারা পানিবন্দী হয়েছেন তাদের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প থেকে আমরা জেলা প্রসাশন ত্রাণ বিতরণ করেছি এবং তাদের জন্য খিচুড়ি রান্না করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের জন্য জিআর প্রকল্প থেকে চালের ব্যবস্থা করে হবে যেখানে প্রতি পরিবারকে ১০ থেকে ২০ কেজি চাল বিতরণ করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “দিনাজপুরে ৫৩ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যেটা বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা বিভিন্ন এলাকায় বিতরণ করবেন। আজকে এখানে ৪০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। আশা করছি দুই-একদিনের মধ্যে পানি কমে যাবে। আমরা জেলা প্রসাশন এ বিষয়ে সবসময় তৎপর রয়েছি।”
উল্লেখ্য, রবিবার দুপুরে দিনাজপুর পৌর শহরের ১নং ওয়ার্ডের হিরাহার, শান্তিরবাগে পানিবন্দী ৫ শতাধিক পরিবারকে জরুরি শুকনো খাবার হিসেবে ত্রাণ সামগ্রী ও খিচুরি বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক।