হাবিবুর রহমান হাবিবঃ চুয়াডাঙ্গা র দামুড়হুদায় “তথ্যের অবাধ প্রবাহে ইন্টারনেটের গুরুত্ব” এই স্লোগানকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস-২০২৩ পালিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১০ টার সময় র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সজল কুমার দাস, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা খাতুন, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার তোফাজ্জল হক, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে জাহান, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা সিএ ফাইজুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফুল ইসলাম মিলন, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবীব, দামুড়হুদা বাসট্যান্ড বাজার কমিটির সভাপতি রতন সহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় উপস্থিত বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতার অধিকারী জনগণ, তাই জনগণের সকল তথ্য জানার অধিকার আছে। সরকার জনগণের জন্য কি দিচ্ছে তা জানার অধিকার জনগণের আছে। তথ্য গ্রহণকারী এবং তথ্য প্রদানকারী উভয়কেই যত্নশীল ও দায়িত্ববান হতে হবে। তথ্যটির বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত হতে হবে। কোন ভুল তথ্য পরিবেশন করা যাবে না। তথ্য জানার সবার অধিকার আছে। তথ্য প্রবাহের কারণে সরকারি কর্মকাণ্ড নিশ্চিত ও জবাবদিহিতা থাকে। ২০০৯ সালে তথ্য আইন চালু হয়। তথ্যের অবাধ প্রবাহ দুর্নীতি কমাতে সাহায্য করে সাংবাদিকতা একটি মহৎ পেশা। এ পেশার মূল লক্ষ্য হলো মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করা। মানুষের কথা বলা। মানুষের সমস্যা, সমাজের নানা অসঙ্গতি অনিয়ম অবিচার তুলে ধরে সাংবাদিকরা এ পেশায় আত্মনিয়োগ করে সাংবাদিকরা জনসেবা ও সমাজকল্যাণ কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। কিছু পাওয়ার জন্য নয়,নিতান্ত ও জনসেবার মহৎ উদ্দেশ্য থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এ পেশায় আসেন একজন প্রকৃত সাংবাদিক। একজন ভালো সাংবাদিককে যেমন সাহসী হতে হয়- তেমনি সত্যনিষ্ঠ ও নীতির প্রশ্নে আপসহীন এবং ন্যায়ের প্রশ্নে অবিচল থাকতে হয়। ঝুঁকি থাকলেও অনেকেই ভালোবাসার কারণে এ পেশাকে বেছে নেন এবং আজীবন সাংবাদিকতায় স্বতশ্চল থাকেন। যারা অকপট সততার সঙ্গে এ পেশায় সক্রিয় থাকেন তাদের এক ধরনের আত্মতৃপ্তি থাকে। ভালো কাজের জন্য আনন্দ থাকে। তাদের কাজ মানুষের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে। বাহবা কুড়ানোর অভিপ্রায় ও অর্থলিপ্সুতা তাদের থাকে না। অর্থকড়ি উপার্জন তাদের উদ্দেশ্য নয়। প্রতিপত্তির চাহিদা থেকে একজন প্রকৃত সাংবাদিক দূরে থাকেন সবসময়। জনসেবার জন্য সাংবাদিকতা করেন। অমিত সাহস নিয়ে ছুটে যান খবরের কাছে। অনেক পরিশ্রম করে তথ্য তুলে আনেন ঘটনার গভীর থেকে। অসীম সাহসিকতার সঙ্গে নানা বৈরী পরিবেশের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয় অবিরাম যাতে তার লেখনীতে মেধার স্ফুরণ ঘটে আমরা যে সমাজে বাস করি এখানে সাংবাদিকতার ঝুঁকি অনেক। অনেক সময় মামলা ও শারীরিক আক্রমণের শিকার হতে হয়। নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে সাংবাদিকতা করতে হয়। এই দর্পণে প্রতিবিম্বিত হয় সমাজের প্রতিচিত্র। অন্যায়, অনিয়ম, নিগ্রহ, শোষণ-বঞ্চনা ও অধিকার হরণের বিরুদ্ধে একজন সাংবাদিককে সোচ্চার থাকতে হয় সবসময়। চোখ রাঙানোকে গণ্য না করে নির্ভীক ও নিরলসভাবে কাজ করতে হয়।