মোঃ কবির হোসেন স্টাফ রিপোর্টারঃ সাগরে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মা ইলিশ রক্ষায় উপকূলের সাগর ও নদীতে ইলিশ ধরার ওপর গত ১২ অক্টোবর থেকে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) মধ্য রাত থেকেই শেষ হচ্ছে সেই নিষেধাজ্ঞা। প্রতি বছরের ন্যায় এই বছর ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ছিল এই নিষেধাজ্ঞা। এসময় মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে সব ধরনের মাছ শিকার, আহোরণ, মজুদ ও ক্রয় বিক্রয় বন্ধ ছিল। এতে ২২ দিন বেকার সময় পার করেছে জেলেরা। মৌসুমের শুরু থেকে নদীতে তেমন একটা মাছ পাওয়া যায়নি। আর্থিক অভাব অনটনের মধ্যে কেটেছে তাদের দিন। বড়মানিকা ইউনিয়নের স্বরাজ গঞ্জ মাছ ঘাটের জেলে আলাউদ্দিন মাঝি জানান, একটি ছোট মাছধরা নৌকার মাঝি সে। তার নৌকায় তিনি সহ ১০ জন মাছধরার কাজ করেন। এই বছর মৌসুমের প্রথম থেকে আশানুরুপ মাছ পায়নি। নিষেধাজ্ঞার আগে করা হিসাবে দেখা গেছে প্রায় লাখ টাকার মত দেনা আছেন। গত কয়েকদিন জাল ও নৌকা মেরামতের কাজ শেষ করেছেন। রাতে সহকর্মীদের নিয়ে নদীতে মাছ শিকারে যাবেন। এজন্য সবাই সব শেষ প্রস্তুতি নিতে ঘাটে এসে নৌকায় অবস্থান করছেন। সবার মধ্যে এক ধরনের আনন্দ উল্লাস কাজ করছে। সরেজমিনে ঘুরে উপজেলার গংগাপুর ইউনিয়নের জয়া মাছ ঘাট , নতুন হাকিমুদ্দিন মাছ ঘাটে দেখা যায়, অনেক জেলে রা , নৌকার মাঝিরা তাদের জাল নৌকায় তুলে নিচ্ছেন। নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেরা ছিড়ে যাওয়া এসব জাল তীরে নামিয়ে মেরামত করেছেন। অনেকে জ¦ালানি তেল ও খাওয়ার নিয়ে নিচ্ছেন। সবার মধ্যে একধরনের কর্ম তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। বোরহানউদ্দিন উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা মনোজ কুমার সাহা জানান, রাত ১২টার পর জেলেরা নদীতে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। এই বছর বোরহানউদ্দিন জেলেরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে যাওয়ার চেষ্টা করেননি। উপজেলায় নিবন্ধিত মৎসজীবি লোকের সংখ্যা ২০,৬০০ (বিশ হাজার ছয়শত) জন , নদীতে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে ১৮০০০ (আঠারো হাজার) জেলের মধ্যে ভিজিএফ চাউল প্রদান করা হয়। এসময় ৪ জন জেলেকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে ও ২১ টি নৌকা আটক করে নিলামে ২৪৪ ৩০০(দুই লক্ষ চুয়াল্লিশ হাজার তিনশত) টাকা বিক্রি করা হয়৷