স্টাফ রিপোর্টারঃ
মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী আছমা বেগমের (৪৫) বাঁচার আকুতি তার। কিন্তু অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না তার গরিব স্বামী রফিজল বেপারী । আছমা বেগম রাজধানী ঢাকার মিরপুরের ডেল্টা হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেডেে চিকিৎসা নেয়ার পর বর্তমানে বাড়িতে বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
চিকিৎসক জানিয়েছেন, সে মরণব্যাধি জড়ায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে। আছমা বেগম ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার গংগাপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ জয়া গ্রামের জয়া মাছ ঘাট বেড়িবাঁধ সংলগ্ন মোঃ রফিজল বেপারীর স্ত্রী এবং দাম্পত্য জীবনে তিনি ৩ সন্তানের জননী ।
তার স্বামী জানিয়েছে, আমি গরীব মানুষ মাছ ঘাট থেকে মাছ কিনে এনে বোরহানউদ্দিন পৌর শহরে বিক্রি করি এর থেকে যা মুনাফা হয় তা দিয়ে পরিবারের মুখে রুটি রুজির জোগান দেই । প্রায় ১ বছর আগে আমার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকাতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে বিভিন্ন পরীক্ষা নীরিক্ষা করে ডাক্তাররা আমার স্ত্রীর জরায়ুতে ক্যান্সা শনাক্ত করে । তারপর আমি ঢাকা পিজি হাসপাতাল সহ অনেক সরকারী বেসরকারী হাসপাতালে আমার স্ত্রীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করি এতে আমার স্ত্রীর চিকিৎসায় সুস্থতা লাভ করেনি । ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক সবশেষে মিরপুর ডেলটা প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করি , এরপর কিছু দিন সেখানে চিকিৎসা সেবা নেয়ার পর টাকার অভাবে সেখানে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যায় পরে আমি আমার স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসি ।
সেই অসুস্থ হওয়ার শুরু থেকে অর্দ্যাবধি আমার স্ত্রীর চিকিৎসার পিছনে আমার ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ।এই টাকা মানুষের কাছ থেকে দেনা করেছি ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা । এখন আমার চোখে মুখে অন্ধকার দেখতেছি একেতো দেনার টাকা পরিশোধ করার চাপ অন্যদিকে ক্যান্সারে আক্রান্ত স্ত্রীর ব্যয়বহুল চিকিৎসার টাকার অভাবে স্ত্রীর চিকিৎসা বন্ধ । আছমার স্বামী রফিজল মিয়া আক্ষেপ করে বলেন , তাই নিরুপায় হয়ে দেশের বিত্তশালী , ধনবান মানুষের কাছে একটু আর্থিক সহযোগিতা কামনা করছি ৷ সবাই যদি আমার স্ত্রীর পাশে একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে আমার স্ত্রী পৃথিবীর আলোর মুখ দেখতে পারবে , আর আমার সন্তানরা মা হারিয়ে এতিম হবেন না ।
যোগাযোগঃ আছমার স্বামী , মোঃ রফিজল বেপারী
মোবাইল নংঃ ০১৭৩৬৫৪৫৪৩১ ।