মোঃ রেজাউল করিম, কক্সবাজার থেকে।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সৈকত নগরী কক্সবাজারে আজ যাত্রা শুরু হয়েছে অত্যাধুনিক শৈলীতে নির্মিত আইকনিক রেলস্টেশনের । বাংলাদেশ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের ৪৮তম জেলা হিসেবে যুক্ত হয়েছে কক্সবাজার।
দুপুরে উদ্বোধনের পর আইকনিক রেলস্টেশনের কাউন্টার থেকে ১টা ২১ মিনিটে টিকিট কাটেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী। এরপর সবুজ পতাকা উড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর হুইসেল বাজানোর মাধ্যমে ১টা ২৭ মিনিটে রামুর উদ্দেশে ছেড়ে যায় একটি ট্রেন। রামুতে পৌঁছে সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ রেলের সাথে কক্সবাজার সংযুক্ত হলো। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার রেললাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে সত্যি আমি খুব আনন্দিত। কথা দিয়েছিলাম, কথা রাখলাম। আজকের দিনটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটা গর্বের দিন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতি রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ‘আগামী ডিসেম্বরে ঢাকা থেকে কক্সবাজার এবং কক্সবাজার থেকে ঢাকা রুটে একটি ট্রেন বাণিজ্যিকভাবে চালাতে পারবো। সেই ট্রেনের কী নাম হবে এর ছয়টি সম্ভাব্য নাম আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছি। এ নামের মধ্যে কোনোটি যদি আপনার পছন্দ হয় সেটি পছন্দ করবেন। অথবা আপনি যদি অন্যকোনও নাম দেন সেটি আমরা রাখবো।’
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর হুমায়ুন কবির।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ, প্রতিনিধি জনপ্রতিনিধি, জেলা, উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সুধিমহল উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মানের জন্য ২০১০ সালে ৬ জুলাই দোহাজারী-রামু-ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। মেগা প্রকল্প হিসেবে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১৮ সালে এ মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। অনুমোদনের ১৩ বছর পর প্রকল্পটির উদ্বোধন হলো।
এতে ব্যয় হয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার।