তাহিরপুর, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: আলোকবর্তিকা হয়ে শোষিত আর বঞ্চিত বাঙালিকে মুক্তির পথে নিয়ে গিয়েছিলেন যারা, অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছেন নিজের প্রাণ, জাতির সেই সূর্যসন্তানদের স্মরণে সারা দেশের ন্যায় সুনামগন্জের তাহিরপুর উপজেলায় পালিত হচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।
১৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। ১১ টায় উপজেলা বঙ্গবন্ধু কর্নারে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। তাহিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আসাদুজ্জামান রনির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নব যোগদানকারী নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা পারভিন, বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাসান উদ দৌলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা বেগম, ওসি তদন্ত কাউচার আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা রউজ আলী,রফিক মিয়া,উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর খোকন, উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক রমেন্দ্র ণারায়ন বৈশাখ, সাংবাদিক রোকন উদ্দিন, বাবরুল হাসান বাবলু,আবু জাহান তালুকদার,জাহাঙ্গীর আলম,আহমেদ কবির,সামছুল ইসলাম আখন্জি, আবুল কাশেম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাত থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময়জুড়েই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী। তবে বিজয়ের প্রাক্কালে এ হত্যাযজ্ঞ ভয়াবহ রূপ নেয়। আর এ কাজে তাদের সহযোগিতা করেছিল দেশীয় দোসররা।
ডিসেম্বরের মধ্যভাগে মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয় যখন অনিবার্য; তখন এদেশীয় দোসরদের সহযোগিতায় পাকিস্তানি বাহিনী হত্যা করে বাংলাদেশের প্রথিতযশা বুদ্ধিজীবীদের; এর উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে পঙ্গু করে দেওয়া।
দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালির বিজয় যখন আসন্ন, তখনই ঘটে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম সেই হত্যাকাণ্ড।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, চিকিৎসক, শিল্পী, লেখক, সাংবাদিকসহ বহু খ্যাতিমান বাঙালিকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করে।
নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত জেনেই পাকিস্তানি বাহিনী ওই নিধনযজ্ঞ চালায়; তাদের উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতার পর যেন বাংলাদেশ যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে- তা নিশ্চিত করা।