মোঃ রেজাউল করিম,ঈদগাঁও,কক্সবাজারঃ ঈদগাঁওতে আজ বুধবার উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস, ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনে সকালে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভা সঞ্চালনা ও সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবল চাকমা। ঈদগাহ জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে উপজেলা প্রশাসনের অস্থায়ী সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তিনটি জাতীয় দিবসের কর্মসূচি আলোকপাত করা হয়।
এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, জাতীয় কর্মসূচির সাথে সমন্বয় রেখে জেলা প্রশাসনের প্রদত্ত নির্দেশনা মতে গুরুত্বপূর্ণ এ রাষ্ট্রীয় দিবসসমূহ পালন করা হবে। কর্মসূচির মধ্যে থাকবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, আলোচনা সভা, চিত্রাংকন, রচনা, কবিতা আবৃত্তি ও বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রতিযোগিতা, কুচকাওয়াজ, মোমবাতি প্রজ্জলন,
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে দেশের উন্নতি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত/ প্রার্থনা পরিচালনা।
সভায় জানানো হয়, পৃথক কয়েকটি ভেন্যুতে কর্মসূচির উদ্যোগ নেয়া হবে। ভেন্যু তিনটি হচ্ছে ঈদগাহ রশিদ আহমদ কলেজ মাঠ, ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এবং ঈদগাঁও কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরী।
এতে মতামত পেশ করেন ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ শুভ রঞ্জন চাকমা, ট্রাফিক কার্যক্রমের পরিদর্শক প্রিয়দর্শী চাকমা, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার রাশেদুল হাসান মু, মহিউদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা যথাক্রমে ডাক্তার শামসুল হুদা চৌধুরী, মাস্টার নুরুল আজিম, ডাক্তার মুস্তাফিজুর রহমান, স্বপন চৌধুরী, ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিনিধি মোঃ রেজাউল করিম। উপস্থিত ছিলেন ঈদগাঁও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল কর্মকর্তা ডাক্তার তৃণা সাহা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ, ঈদগাঁও বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদ সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল হক চৌধুরী রিকো, ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সচিব স্বরূপা পাল, সচিব মতিলাল, শিক্ষক নুরুল আমিন হেলালী, আব্দুস সালাম, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুব্রত দাশ (জিকো), স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধি সহ স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ, নিহত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্য ও সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে পৃথক পৃথক উপ-কমিটি গঠনের মাধ্যমে সরকারি দিবস সমূহ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করণ ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনের দাবি তুলেন দুইজন মুক্তিযোদ্ধা।