উপজেলা প্রতিনিধি,মোঃ মিজানুর রহমান কালুঃ ড্রাইভার নয় হেলপার দিয়ে চালানোর ফলে গাড়িটি ঢুকে যায় বাড়ির ভিতর এবং দুটি মাইক্রোবাসের উপর, রাজশাহীর পুঠিয়ায় দুর্ঘটনা যেন নিত্যদিনের সঙ্গী,এবার বালু বোঝাই ড্রাম ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে থেমে থাকা দুই মাইক্রোবাসের উপর তুলে দেওয়া হয়েছে,পাশাপাশি ভেঙ্গে গেছে একটি বাড়ি,অপরদিকে পুঠিয়া-তাহেরপুর সড়কের মালিপাড়া নামক স্থানে সেখানেও ঘটে আরও একটি দুর্ঘটনা।
বুধবার (১৩ই মার্চ) সকাল ৬ টার সময় নাওপাড়া, বটতলা, চারঘাটের মোকসেদ আলীর ছেলে সুজনের ড্রাম ট্রাক ওই দুর্ঘটনা ঘটায়
জানা যায় রাজশাহীর চারঘাট মুক্তারপুর এলাকার থেকে একটি বালু বোঝায় ড্রাম ট্রাক তাহেরপুরের দিকে যাবার সময় পুঠিয়া-তাহেরপুর সড়কের গন্ডগোহালী নামক স্থানে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সাফাতুল্লাহ ও কাবাতুল্লাহ নামের ব্যক্তির বাড়িতে প্রচন্ড গতিতে ঢুকে পড়ে বালু বোঝাই ওই ড্রাম ট্রাকটি,এতে করে সাফাতুল্লাহর ছেলে মোঃ নাজমুল হোসেনের বাড়ির সাথে পার্কিং করে রাখা ২ টি মাইক্রো গাড়িতে সজরে আঘাত লাগায় গাড়ি দুটি সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যায়,এছাড়াও কাবাতুল্লা নামের ওই ব্যক্তির ঘরে দেয়ালে আঘাত লেগে দক্ষিণ দিকের দেয়াল পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়ে যায় এবং ওই ঘরের অন্যান্য দেয়ালগুলো ফেটে যায়।
এছাড়াও ওখানে দুটি বড় বড় ডাব গাছ ও কিছু সুপারীর গাছ ভেঙ্গে চুরে আরো একটি বড় মেহগনির গাছের সাথে ধাক্কা লেগে গাড়িটি আটকে যায়। এ সময় গাড়ির ভেতর থাকা ড্রাইভার হেল্পার ও বালুর মালিক আহত হন।
ওই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মাইক্রোবাসের মালিক মোহাম্মদ নাজমুল হোসেন তিনি বলেন, ভোর ছয়টার সময় আমরা হঠাৎ বিকট আওয়াজ শুনতে পাই বাহিরে এসে দেখি আমার দুটি গাড়ির উপরে গাড়ির উঠে গেছে এবং দুটি বড় বড় ডাব গাছ তা ভেঙ্গে আমার চাচার বাড়ির ভিতরে গাড়িটি ঢুকে গেছে। আমার দুটি গাড়ির প্রায় ছয় থেকে সাত লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে এছাড়াও আমার চাচার বাড়ি ভেঙ্গে গেছে।
সেখানেও প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে,যখন উদ্ধার করছিল সে সময় আমি দেখেছি ড্রাইভার মাঝখানে ঘুমাচ্ছিল এবং চালক দিয়ে গাড়ি চালানো হচ্ছিল। যার কারনেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
পাশাপাশি স্থানীয় এলাকাবাসীরাও বলছেন একই রকম কথা,শুধু পুঠিয়া-তাহেরপুর সড়ক নয়। রাজশাহী অঞ্চলে ড্রাম ট্রাক ও মাছ বহনকারী ট্রাক সড়কে চলাচল সাধারণ মানুষের ব্যাপক সমস্যা করে। মাঝে মাঝে দেখা যায় বালু বোঝায় ওই ড্রাম ট্রাকগুলো অনিয়ন্ত্রিতভাবে খুব দ্রুত গতিতে চলাচল করে,তাতে করে ট্রাম ট্রাকে থাকা বালুগুলো উড়ে পেছনে থাকা মোটরসাইকেল আরোহী বা অন্যান্য যানবাহনে থাকা মানুষের চোখে মুখে এসে পড়ে, যার ফলেও ঘটে দুর্ঘটনা।
পাশাপাশি মাছ বহনকারী ট্রাকগুলো অতিরিক্ত পানি নেয়ার ফলে বিভিন্ন জায়গায় ব্রেক করলে মানুষের গায়ে পানি ছিটিয়ে পড়ে,এতে করেও দেখা যায় দুর্ঘটনা ও মারামারির মতো ঘটনা,আর এসব নিয়ন্ত্রণ করতে কাউকেই তেমনটা দেখা যায় না সড়কে। যার ফলে সাধারণ মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভ লক্ষ্য করা যায়।
এ বিষয়ে ঘটনার দায়িত্বে থাকা পুঠিয়া থানার এসআই মতিউর রহমান বলেন, আমি গাড়ির ভেতরে আছি এখন কিছু বলতে পারব না পরে ফোন করুন,অন্যদিকে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুর রহমান তিনি বলেন, আমি যতটুকু জেনেছি একজনকে সাইড দিতে গিয়ে ড্রাইভার গাছের সাথে মেরে দিয়েছে বিষয়টি নিয়ে আমরা দেখছি।