মোঃ ওসমান গনি ইলি,ঈদগাঁও,কক্সবাজারঃ আসনে ৮ মে কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারনা । দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই প্রার্থীদের চোখের ঘুম খাওয়া দাওয়া বাদ দিয়ে ভোটারদের দারে দারে ভোট প্রার্থনা করছে প্রার্থীরা ।বিভিন্ন জায়গায় সভা সমাবেশ ব্যস্ত সময় পার করছে।আবার অন্যদিকে মহিলা ভোটারদের উজ্জীবিত করতে বাড়ি বাড়ি উঠান বৈঠক হচ্ছে।বিভিন্ন দলের ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে ভোট প্রার্তনা করছে।
কেননা এই সদর উপজেলায় পুরুষ ভোটারের চেয়ে মহিলা ভোটার সংখ্যা বেশী।তাইতো তাদের ভোট আদায় করার জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা।
কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন দুজন প্রার্থী। একজন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র মুজিবুর রহমান, অপরজন কক্সবাজার পৌরসভার চারবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার। শুরুতে পাঁচজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিলেও শেষে তিনজন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। আগামী ৮ মে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
দলের নেতা–কর্মী ও ভোটারেরা জানান, শুরুর দিকে মুজিবুর রহমানের অবস্থান ভালো ছিল। তবে গত রোববার থেকে নুরুল আবছারের পক্ষেও জোর প্রচারণা শুরু হয়েছে। তাঁর হয়ে মাঠে নেমেছেন কক্সবাজার পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহমুদুল করিমসহ অনেকে।
এদিকে মুজিবুর রহমানের পক্ষে মাঠে নামেন কক্সবাজার শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলামসহ শহর আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মী ও পাঁচটি ইউনিয়নের সাবেক ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানরা।
নুরুল আবছারের পক্ষে প্রচারণায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।নুরুল আবছারের পক্ষে প্রচারণায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজিবুল ইসলাম বলেন, মেয়র থাকাকালে গত পাঁচ বছরে মুজিবুর রহমান কক্সবাজার পৌরসভার যেসব উন্নয়ন করেছেন, তা গত ৫০ বছরেও কেউ করে দেখাতে পারেননি। উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে পুরো উপজেলার রাস্তাঘাটসহ দৃশ্যপট পাল্টে যাবে। মুজিবুর রহমান মেয়র নির্বাচিত হওয়ার আগে ঝিলংজা ইউনিয়নের টানা ১৪ বছর ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। কয়েকটি পথসভায় তিনি মেয়র থাকাকালীন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের তালিকা তুলে ধরেন। মাদক-সন্ত্রাস, অপরাধ বন্ধের পাশাপাশি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আশ্বাস দেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা বলেন, নুরুল আবছারের পক্ষে দলের বেশ কিছু নেতা প্রকাশ্য হলেও মুজিবুর রহমানের পক্ষেও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের দেখা যাচ্ছে না। তাঁদের অনেকে বিভিন্ন উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। কেউ আবার সংসদ সদস্য। তবে দলের একটি প্রভাবশালী মহল চাইছেন না মুজিবুর রহমান জিতে আসুক।
কক্সবাজার পৌরসভা ও পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে সদর উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২২ হাজার ৯৯৬ জন। ভোটকেন্দ্র ৮২টি। দলীয় নেতা–কর্মীরা জানান, শহরের ভোট নির্বাচনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। কক্সবাজার পৌরসভার ভোটার রয়েছেন ৬৭ হাজার ৫৭৭। সে দিক থেকে এই ভোটাররাই এবার জয়–পরাজয় নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখতে পারেন।