বিশেষ প্রতিনিধিঃ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এবারই প্রথম চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী পিতামাতার বিজয় সুনিশ্চিতে কার্যত কোমর বেঁধে ভোটের মাঠে নেমেছেন সন্তানরা। যাদের বিরামহীন ভোট চাওয়ার ফলে জনগণের মাঝে ভোটের আমেজ বিরাজ করছে। শিক্ষিত, স্মার্ট ও মেধাবী সন্তানদের বুলিতে বাস্তবতার মিশেলে মুগ্ধ ভোটাররা।
লালমোহন উপজেলা নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মিসেস মাসুমা বেগমের হাসঁ প্রতীকের বিজয় সুনিশ্চিতে বড় ছেলে আরিফুর রহমান আরিফ একাই একশো গতিতে সকলকে সাথে নিয়ে ভোটারদের মনজয়ে সফলতার সাথে এগিয়ে রয়েছেন। মায়ের নির্বাচনী সকল কর্মকান্ড একাই সামাল দিচ্ছেন আরিফুর রহমান আরিফ।
বসে নেই উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদের কন্যারাও। বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন আহমেদের মোটরসাইকেল প্রতীকের বিজয় সুনিশ্চিতে মেয়ে ফারজানা তানি, এ্যানিরা কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন। তাদের মিশন বাংলার সূর্য সন্তান মুক্তিযোদ্ধা পিতার বিজয় নিশ্চিত করা। কন্যা হিসেবে সাধারণ ভোটারদের দ্বারেদ্বারে গিয়ে মোটরসাইকেল মার্কায় ভোট দেওয়ার আহবান জানান। অপরদিকে পাশ্ববর্তী উপজেলা তজুমদ্দিনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল হক দেওয়ানের আনারস প্রতীকের পক্ষে মেয়ে নিপুন মানুষের দ্বারেদ্বারে গিয়ে ভোট চাইছেন। বাবার বিজয় সুনিশ্চিতে সন্তান হিসেবে দেওয়ান কন্যা নিপুনের আনারস প্রতীকের প্রচার প্রচারণা গনসংযোগে ভোটারদের মন কাড়ছেন।
সন্তানদের এভাবে পিতামাতার বিজয় সুনিশ্চিতে ভোটের মাঠে এমন সক্রিয় অবস্থান এর পূর্বে না দেখা গেলেও এ নির্বাচনে দেখা যায়। এ যেনো পিতা মাতার নয় সন্তাদের নির্বাচনী বৈতরণি পার হওয়ার মিশন।
উল্লেখ্য, আগামী ৯জুন ভোলার লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।এর মধ্যে লালমোহন উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৩ হাজার ৩৪ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৫৪ এবং নারী ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ২৪ হাজার ৪৭৮ জন। লালমোহন উপজেলার ৮৩টি কেন্দ্রের ৬৪৩টি কক্ষে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।