রাকিব হোসেন,ঢাকাঃ দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আনন্দ উল্লাসের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ চশমা শিল্প ও বণিক সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন (২০২৪-২০২৫) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি সমিতির ১৮ তম সাধারণ নির্বাচন।
শনিবার (৮ জুন) রাজধানীর পাটুয়াটুলী সমিতির নিজ কার্যালয়ে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। ২১টি পদের বিপরীতে একটি প্যানেলে ২১ জন, অপর প্যানেলে ২১ জন ও স্বতন্ত্র ১ জন সহ মোট ৪৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার সংখ্যা ১৫৫ জন।
বাংলাদেশ চশমা ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কাজী জানে আলম, মোঃ হারুন অর রশিদ, মোঃ নাজাম, মোঃ আলী হোসেন, কে এম কামরুজ্জামান (সবুজ), মোঃ মোবারক হোসেন, শফিক আহমেদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোহাম্মদ জাকির হোসেন, লিমন আলী খান, মোঃ ইলিয়াস আলী, রেজআনুল হক শিকদার, আব্দুল্লাহ আল নোমান, শেখ আব্দুল্লাহ, মোঃ ইব্রাহিম মিয়া, শেখ মো: মুনিম, শেখ হান্নান মোল্লা, মোঃ সোহেল শেখ, মোঃ মনির হোসেন, ওয়াসিফ জামির ও আহসান উল্লাহ খান।
মিজান-জুয়েল ভোট অধিকার পরিষদে মোঃ মিজান, মোহাম্মদ জুয়েল, আনোয়ার হোসেন খান, আজিজুল হক রতন, জাকিউর রহমান, হাজী মোহাম্মদ ইউসুফ, শেখ সাদেকুল হুদা, মোঃ ফারুক হোসেন, শেখ সাদেক আলম, মোঃ শাকিল হোসেন, মোঃ কামরুজ্জামান খান, মোঃ জেহাদুল ইসলাম পরশ, মোঃ জাকির হোসেন বাদশা, মোঃ মোতালেব হোসেন, মোঃ আমিনুল হক, মোঃ মোসলেম আলী, মোঃ সেলিম মিয়া, নওশাদ কাওছার, এস.এম সাঈদ সুফি, মোঃ ফরিদ হোসেন হাওলাদার ও গোলাম মোহাম্মদ রাজু প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পরিচালক পদপ্রার্থী মোঃ মানিক মিয়া।
এ সময় একাধিক প্রার্থী একুশে সংবাদকে বলেন, দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছর পর আজকে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে সিলেকশনের মাধ্যমে আমাদের কমিটি করা হয়েছে, এবারই ইলেকশনের মাধ্যমে কমিটি ঘোষণা করা হবে। যেই জয়ী হই, এই সমিতির উন্নয়নে কাজ করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
একাধিক ভোটার বলেন, নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা সকল প্রার্থী আমাদের খুব আপনজন। সবাইকে তো জয়ী করতে পারবোনা তবে যেই জয়ী হবে সে সকলকে নিয়ে এই চশমা শিল্প ও বণিক সমিতির উন্নয়নে কাজ করবে এটা আমাদের প্রত্যাশা। সমিতির সকল সদস্যদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকবে এটাই আমাদের কাম্য। আমাদের ব্যবসায়ীদের ভ্যাটের বিষয়ে কাজ করতে হবে।
এছাড়াও আরও বলেন, আমাদের চশমা আমদানির বিষয়ে অনেক ভোগান্তিতে পরতে হয়। ভ্যাট দিতে হয় বেশি। এই বিষয়ে অনেক কাজ করতে হবে নির্বাচিত কমিটিকে। আমরাই যেন দেশে চশমা তৈরী করতে পারি, এ বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে কমিটিকে।
এই নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার সৈয়দ নাসিম আহমেদ বলেন, খুবই সুন্দর সুষ্ঠ একটি নির্বাচন পরিচালনার জন্য সকল ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রার্থী বা ভোটারদের পক্ষ থেকে কোন ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায় নি। নির্বাচনের সকল নিয়ম-কানুন মেনে ভোটারদের কাছে ভোট চাইছে প্রার্থীরা। যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত রয়েছে। আমার সহকারী নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আবুল কালাম আজাদ।