বিরামপুর,দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পশ্চিম পাশে বিরামপুর উপজেলার পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে দুই বিঘা জমি জুড়ে ডালপালা বিছিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বিশাল এক বটগাছ। শুক্রবার একুশে জুন বৈকাল ছয়ঘটিকায় সময় দেড়শত বছরের পুরনো বটগাছটি পরিদর্শন করেন দিনাজপুর জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ শাকিল আহমেদ। এ সময় তিনি বলেন দেড়শত বছরের প্রাচীন ও পুরনো বয়সী এই বটগাছটির রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং জেলার তথ্য বাতায়নে
বটবৃক্ষটির কথা অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিরামপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন, পলিপয়াগপুর ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হোসেন, ইউপি সদস্য পলাশ মন্ডল সহ স্থানীয় সুধীজন আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
গত কয়েকদিন আগে উক্ত দেড়শ শত বছরের প্রাচীন বটবৃক্ষ টি পরিদর্শন করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব ড, আলতাফ উল আলম এবং দিনাজপুর জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ।
গাছের নিচে স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পূজা-অর্চনা করেন। দূর-দূরান্ত থেকে অনেকে গাছটি দেখতে আসেন।
দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা মঙ্গল সরেন জানান, কালী প্রসন্নের দাদা রমণী সরকার বটগাছটি রোপণ করেন। আমি ছোট থেকেই গাছটিকে দেখছি। ধীরে ধীরে এর শাখা-প্রশাখা ছড়িয়েছে। এটি আমাদের এলাকার একটি সম্পদ। এখানে প্রতিবছর দুর্গাপূজা, কালীপূজাসহ অন্যান্য ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় মজিদনগর কারিগরি বিএম কলেজের প্রভাষক কালীপ্রসন্ন সরকার জানান, ‘ছোট থেকেই শুনে আসছি, ঠাঁকুর দাদারা গাছটি রোপণ করেছেন। পারিবারিক জায়গা জমি বণ্টনের পর প্রাচীন এই বৃক্ষ আমার বাবা বারীন্দ্রাথ সরকারের অংশে পড়ে। সেই সূত্রে জমি এবং বটবৃক্ষটির উত্তরাধিকার আমি ও আমার পরিবার। লোকমুখে শুনেছি, আমার পরিবারের তিন প্রজন্মের কাছে গাছটির বয়স নাকি একশো পেরিয়েছে।’
বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত তাসনীম আওন জানান, ‘এটি এই অঞ্চলের সবচেয়ে পুরোনো বটগাছ। গাছটির বয়স দেড়শো বছর হবে। এটি দুই বিঘা জমি জুড়ে দাঁড়িয়ে আছে। গাছটিকে দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে অনেকে আসেন এবং এখানে পূজা-অর্চনা করা হয়। গাছটিকে রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।