ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের উত্তর ঠাকুরগাঁও গ্রামে দেশি এবং বিদেশী জাতের ছাগল পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন রাজেন চন্দ শর্মার ছেলে রবীন চন্দ্র শর্মা । ৭/৮ বছর আগে নিজ জমিতে গড়ে তুলেন মা ছাগল ও ডেইরী ফার্ম।
জানা যায়, ২০১৭ সালে প্রথমে ১৫ টি ছাগল কিনে বাড়ীতে লালন-পালন শুরু করেন। এর ১ বছর পর ৩০টি ছাগল দিয়ে শুরু করেন মা ছাগল ও ডেইরী ফার্ম। এর কিছুদিন পর কয়েকটি ছাগল বিক্রি করে লাভ পেতে শুরু করেন। তারপর আরও কয়েক টি ছাগল কিনেন। এরপর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ৭/৮ বছর ধরে খামারে চাগল পালন করে আসা এখন তার ফার্মে ছাগল রয়েছে ছোট বড় মিলে ১০০টি। রবীন চন্দ্র শর্মা বলেন, আমি প্রায় ৭ বছর থেকে ছাগল পালন করছি। আমি ছাগল পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছি। আমাকে ইএসডিও’র আরএমটিপি প্রকল্প সর্বক্ষণিক সহযোগিতা করছে। তিনি বলেন, ই এস ডি ও এর প্রকল্পের ডা. বাবুল চন্দ্র বর্মন আমার ছাগলের খামারের খোঁজখবর রাখেন এবং ঔষুধপত্র দেন এবং আমাকে আর এম টি পি প্রকল্প হতে ডাক্তার বাবুল চন্দ্র বর্মন এর মাধ্যমে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা অনুদান দেয়। তিনি আরো বলেন, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ভেটনারি অফিস থেকে আমাকে শুধু একবার ভিটামিন জাতী ঔষুধ দিয়েছিল।
ইফাদ ও পিকেএসএফ এর অর্থায়নে ইএসডিও -আরএমটিপি প্রকল্পের প্রকল্প ব্যাবস্থাপক ও ইএসডিও’র এসিসট্যান্ট প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর (এপিসি) ডাক্তার বাবুল চন্দ্র বর্মন বলেন, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের উত্তর ঠাকুরগাঁও গ্রামের রবীন চন্দ্র শর্মার ইএসডিও আরএমটিপি’র তত্বাবধানে একটি বড় মা ছাগলের খামার স্থাপন করা হয়েছে। নিরাপদ দুধ এবং নিরাপদ মাংস উৎপাদনের নিমিওে রবিনের এই ছাগলের খামার দেখে এলাকার অনেকে এইরকম ছাগলের খামার দিচ্ছে। ছাগল পালন করে সে স্বাবলম্বী হয়েছেন। আমরা আরএম টিপি প্রকল্পের আওতায় নিয়মিত টিকা প্রদান, কৃমিমুক্তকরন এবং সব রকমের চিকিৎসা সুবিধা দিয়ে আসছে। বর্তমানে তার খামারে দেশি-বিদেশি ছাগল রয়েছে প্রায় একশত এর উপরে। এই খামার থেকে সে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা আয় করছে। তার এই খামার দেখে আরএমটিপি প্রকল্পের আওতায় প্রায় শতাধিক খামার গড়ে উঠছে । তিনি আরো বলেন, আরএমটিপির মুল লক্ষ্য হচ্ছে কিভাবে তার খামারকে বানিজ্যিকিকরন এর মাধ্যমে লাভবান হওয়া যায় । বর্তমানে খামারে বিভিন্ন জাতের মোট ১০০টি ছাগল রয়েছে এবং এই মা ছাগল হতে সে প্রতিদিন গড়ে ১৫/২০ লিটার দুধ পায়, যা বাইরে বিক্রি করে যে টাকা পায় তা দিয়ে ছাগলের খাবার এবং অন্যান্য আনুসাংগিক ক্রয় করে। এই দুধ চিজ ফ্যাক্টরীতে দেয়া হয় এবং দুধ হতে পনির তৈরি করা হয়। ছাগলের দুধের পনির অনেক সুস্বাদু হওয়ায় এর চাহিদাও বাজারে অনেক বেশী। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ হেমন্ত কুমার রায় বলেন, রবীন চন্দ্র শর্মার ছাগলের খামার আছে বলে আমরা অবগত আছি এই মুহূর্তে আমাদের হাতে কোন অনুদানের এই ধরনের কোন প্রকল্প হাতে নাই। পরবর্তীতে কোন প্রজেক্ট বা প্রকল্প আসলে আমরা অনুদানের ব্যবস্থা করব।