সাতক্ষীরাঃ সারাদেশের সাথে এক যোগে দাবী আদায়ের জন্য আবারও কর্মবিরতি পালন করছে সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারিরা। আজ ১ লা জুলাই সকাল ৯ টা হতে দিনভর কর্মবিরতীতে দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্ট কালের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।এ সময় নানা স্লোগান সহ ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা সহ দাবী আদায় করবেই বলে দৃঢ় চিত্তে জানানে হয়।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়,
ভবিষ্যৎ স্মার্ট ও টেকসই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিনির্মাণে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ
সমিতিগুলোকে একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকুরী বিধি বাস্তবায়ন ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সকল চুক্তিভিত্তিক / অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকুরী
নিয়মিতকরণের দাবীতে সারাদেশে গত ০৫/০৫/২০১৪ তারিখ হতে কর্মবিরতি শুরু করা হয়। পরবর্তীতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ
সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এমপি এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এর প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে গত ১০/০৫/ 2028 1 তারিখ বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব (রুটিন দায়িত্ব) সহ আরও ০২ জন অতিরিক্ত
সচিব এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধি টীমের
সাথে আলোচনায় বসা হয়। আলোচনা সভায় বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব (রুটিন দায়িত্ব) সকলের কথা শোনেন এবং ভবিষ্যৎ
বিদ্যুৎ সেক্টর আধুনিকায়ন ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখাসহ যৌক্তিক যে কোন দাবী পূরণের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী ও বিদ্যুৎ
প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশনা রয়েছে বলে জানান। একই সাথে সিনিয়র সচিব কর্মবিরতি স্থগিত করে কাজে যোগদানের আহবান
জানান। ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পুনরায় এক বা একাধিকবার আলোচনা সভার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তৎপ্রেক্ষিতে ঐ দিনই ৮০ টি
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সকল কর্মকর্তা/কর্মচারী ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কর্মবিরতি স্থগিত করে।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৩৭,৫৪২ জন কর্মকর্তা/কর্মচারীদের স্বাক্ষর সম্বলিত প্রস্তাবনা বিদ্যুৎ বিভাগ ও পল্লী
বিদ্যুতায়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সকল জায়গায় দেয়া হয়।
আন্দোলন কারিরা অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয়, ইতোমধ্যে ১৫ কার্যদিবস শেষ হলেও বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ বিভাগকে
অবহিত না করে ঘুর্নিঝড় রেমাল এর বিষয় উল্লেখ করে তাদের নীল নকশার অংশ হিসাবে গত ০৮ / 06 /202৪ খ্রিঃ গোপনে জেনারেল
ম্যানেজারদের নিয়ে মিটিং করে গত ১০/০৬/২০২৪ তারিখে একটি কার্যবিবরণী করা হয়, যা বিদ্যুৎ বিভাগের ১০/০৫/২০২৪
তারিখ জারীকৃত লিখিত সিদ্ধান্তের সাথে সাংঘর্ষিক এবং বিদ্যুৎ বিভাগের আদেশ অমান্য করা হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক
বিদ্যুৎ বিভাগ তথা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অমান্য করায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীদের মনে চরম ক্ষোভ বিরাজ
করছে। আন্দোলনকারীরা বিষয়টিকে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের পূর্বের ন্যায় সমিতিগুলোর প্রতি স্বেচ্ছাচারিতা, শোষণ, নিপীড়ন এর অংশ হিসেবে মনে
করে। বাস্তবিক অর্থে পল্লী বিদ্যুৎ কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্থ ও অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে তারা বিদ্যুৎ বিভাগ তথা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা
অমান্য করে উল্লিখিত সভাটি করেছে যার প্রতিফলন আবারও কার্যবিবরণীতে দেখতে পেয়েছে। দেশের ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ হতে
তাদের নীল নকশার অংশ হিসাবে এই কার্যবিবরণী সারাদেশে একযোগে প্রত্যাখান করেছে। একই সাথে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সকল
কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের এই উষ্কানি ও ফাঁদে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করা করেছে। তাঁরা বিদ্যুৎ বিভাগ তথা
প্রধানমন্ত্রী ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর প্রতি শতভাগ আস্থাশীল আছে একই সাথে চলমান পরিস্থিতি সমাধানের জন্য বিদ্যুৎ
বিভাগ তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ব্যতীত পল্লী বিদুতায়ন বোর্ডের কোন সিদ্ধান্তের প্রতি দেশের ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির
কর্মকর্তা/কর্মচারীদের আস্থা নাই মর্মে স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই।
এমতাবস্থায় ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের গত ১০/০৬/2028
তারিখের কার্যবিবরণী বাতিলপূর্বক বিদ্যুৎ বিভাগ হতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিদ্যুৎ বিভাগ তথা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা
অমান্য করায় পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডকে জবাবদিহিতার আওতায় না আনা হলে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা পরবর্তী ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির
কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ পূর্বের ন্যায় কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচী প্রদান করতে বাধ্য হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, এতদবিষয়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃক কাউকে কোন হয়রানী বা ব্যবস্থা নেয়া হলে যে কোন পরিস্থিতির জন্য পল্লী
বিদ্যুতায়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ এককভাবে দায়ী থাকবে।সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সকল কর্মকর্তা কর্মচারীরা দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোল চালিয়ে যাবেন বলে নিশ্চিত করেছেন।