বদরুদ্দোজা প্রধান,পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ ৯ দিনের শিশুকে রেখে গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দাবিতে গণভবন ঘেরাওয়ের মিছিলে গাজিপুরের মাওনা থেকে রাওয়ানা দেন পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার টোকরাভাষা মিড় পাড়া গ্রামের সাজু। ২৭ জুলাই তিনি ফুটফুটে ছেলের বাবা হন । বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রংপুরে নিহত আবু সাঈদের নামে সন্তানের নাম রাখেন আবু সাঈদ। মাওনা থেকে মিছিলটি সামনের দিকে এগুতে থাকলে পিকআপ থেকে পুলিশ ও বিজিবি এলোপাথারী গুলি করতে থাকে। এসময় দুটি গুলি এসে লাগে সাজুর পিঠে । মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি । পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাঁকে আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১১ আগষ্ট তিনি মৃত্যু বরণ করেন। সাজু মিয়া (২৬) সন্তান সম্ভাবা স্ত্রীকে গ্রামের বাড়িতে রেখে জীবিকার তাগিদে গাজীপুরে যান জুলাই মাসের ২৪ তারিখে। মাত্র ১৬ দিনের মাথায় শহীদ আবু সাঈদের সাথে নিজেও পারি জমালেন পরপারে। সন্তানের মুখ না দেখেই তাকে চলে যেতে হয়েছে না ফেরার দেশে।
সাজু মিয়ার পরিবার ও তার নবজাতক সন্তানের দায়িত্ব নিয়েছেন বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ।
সোমবার (১২ আগষ্ট) বিকেলে সাজু মিয়ার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে এ ঘোষণা দেন তিনি। এসময় তার বাবা আজাহার আলীর হাতে নগদ ৫০ হাজার টাকাও তুলে দেন এই বিএনপি নেতা।
সাজৃ মিঞা ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের গণ অধিকার পরিষদের অঙ্গসংগঠন শ্রমিক অধিকার পরিষদের পঞ্চগড় জেলা কমিটির সহ-সাংগঠণিক সম্পাদকের দায়িত্বেও ছিলেন।
বিএনপি নেতা ফরহাদ হোসেন আজাদ নবজাতক সন্তানকে কোলে নিয়ে বলেন, পৃথিবীবাসী দেখুন এই অবুঝ সন্তানকে রেখে তার বাবা পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। এই দেশকে স্বাধীন করার জন্য জীবন দিয়েছেন। এই ১৭ দিনের বাচ্চাকে আজকে আমরা কি জবাব দিবো? এই সন্তানদের যদি আমরা পূণর্বাসন করতে পারি এবং যোগ্যতা ও মর্যাদা দিয়ে সামনে এগিয়ে নিতে পারি তাহলেই এই জাতি আমাদের এই মুক্তিযুদ্ধকে স্মরন রাখবে।