মোঃ রেজাউল করিম,ঈদগাঁও,কক্সবাজারঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, এদেশের তারুণ্য নির্ভর ছাত্রসমাজ আমাদেরকে নতুন বাংলাদেশের সন্ধান দিয়েছে। তাই ছাত্র সমাজের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ বিনির্মাণে জামায়াত- শিবিরের নেতাকর্মীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি আজ শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজারের ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত বিশাল কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন। ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় অডিটরিয়ামে আয়োজিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা আমীর মাওলানা ছলিম উল্লাহ জিহাদী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর ও হোয়াইক্ষন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও কক্সবাজার জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা মুফতি হাবিবুল্লাহ, কক্সবাজার জেলা বারের সদস্য এডভোকেট ছলিম উল্লাহ বাহাদুর ও ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাওলানা দেলোয়ার হোছাইন।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় জামায়াত নেতা মাস্টার ছৈয়দুল আলম হেলালী, মাওলানা নুরুল আজিম, মাওলানা ছৈয়দুল হক, কক্সবাজার শহর শাখা শিবির সভাপতি আলী হোছাইন, ছাত্রনেতা হাফেজ সাহেদ মোস্তফা, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সাদমান সাকিব নিশাত প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন ডাক্তার আলহাজ্ব আমির সোলতান, মাস্টার নজির আহমদ, মাওলানা ফাজেল ইবনে শরীফ, মাস্টার নুরুল হক, মুফিজুর রহমান মুফিজ, নুরুল হক নুর, মাওলানা বশির আহমদ, আলহাজ্ব মোহাম্মদ শফি, সাহাব উদ্দিন, দিদারুল ইসলাম, তৈয়ব উদ্দিন, কামাল আহমদ, মহি উদ্দিন প্রমুখ।
প্রধান অতিথি শাহজাহান আরো বলেন, সেনাপ্রধান ঝুঁকি নিয়ে দেশের হাল ধরেছিলেন বলে বাংলাদেশ দীর্ঘদিনের থেকে মুক্ত হয়েছে। দেশের মানুষের পক্ষে সেনাবাহিনী ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। দেশের ক্রান্তিকালে তিনি সেনাবাহিনীর এ বলিষ্ঠ ভূমিকার জন্য সাধুবাদ জানান।
তিনি দেশকে দ্বিতীয়বার স্বাধীন করায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যে ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছে তার জন্য তাদের বিরোচিত সংবর্ধনা দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, দেশের সকল বিরোধী মতের মানুষ দীর্ঘদিন লড়াই- সংগ্রাম করেও শেখ হাসিনার পতন ঘটাতে পারেনি। তরুণ ছাত্রসমাজ ও সর্বস্তরের জনগণ বিজয়ের যে ঐতিহাসিক সূচনা করেছেন তাকে অবশ্যই সদ্ব্যবহার করতে হবে।
তিনি সংখ্যালঘু ইসুতে বলেন, একটি মহল অসাম্প্রদায়িকতার জিগির তুলে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছিল। কিন্তু তাতে তারা সফল হতে পারেনি। আওয়ামী লীগের পাতি নেতারাই এসব মন্দিরে হামলা চালিয়েছে।
শাহজাহান বলেন, আবহমান কাল থেকে এদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ইসলাম প্রিয় জনতা অন্য ধর্মাবলম্বীদের মঠ- মন্দিরে দিনরাত পাহারা দিচ্ছেন। তা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
জামায়াতের এ কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, শেখ হাসিনার পতন কোন দলের একার বিজয় নয়। এটা ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়। শেখ হাসিনার পালানোর খবরে সর্বস্তরের গণমানুষ রাস্তায় নেমে দেশকে দ্বিতীয়বার স্বাধীন করেছে।
প্রধান অতিথি কোটাবিরোধী আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।