মোঃ খলিলুর রহমান,সাতক্ষীরাঃ দেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাতক্ষীরার স্থানীয় সরকারের বেশিরভাগ জনপ্রতিনিধির দেখা মিলছে না। পৌরসভা থেকে ইউনিয়ন পরিষদের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি আত্মগোপনে চলে গেছেন। এতে স্থানীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সেবা-পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ জনগণ। ব্যহত হচ্ছে নাগরিক সেবা।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগপন্থী চেয়ারম্যানদের অনেকেই ক্ষমতার পালাবদলের কারণে নিজেদের নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের রোষানল থেকে বাঁচতে ইউনিয়ন পরিষদে আসছেন না। ফলে পরিষদের সেবাগ্রহীতারা বিভিন্ন সনদের আবেদন করেও চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর না থাকায় প্রয়োজনীয় সনদ পাচ্ছেন না। এতে জরুরি প্রয়োজনীয় অফিসিয়াল কাজ করতে পারছেন না ভ‚ক্তভোগীরা।
স্থানীয়রা জানান, নিজেদের পিছনে অপকর্ম ঢাকতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যানরা অফিসে না এসে গা ঢাকা দিয়েছেন। স্বাক্ষর নিতে চেয়ারম্যানের কার্যালয়, বাড়ি কিংবা মোবাইল ফোনে খোঁজ করে পাওয়া যাচ্ছে না তাদের। মৃত্যুসনদ, ওয়ারিশ সার্টিফিকেট, নাগরিক সনদপত্র, ট্রেড লাইসেন্সসহ বিভিন্ন সেবা পেতে ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। দায়িত্ব পালনে ভয় পেলে চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে অন্য কারোর হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার দাবি জানান তারা।
তবে আত্মগোপনে থাকা জনপ্রতিনিধিদের স্বজনরা দাবি করছেন, নিরাপত্তাহীনতার কারণেই অনেকে তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে ও কর্মস্থলে যেতে পারছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা প্রশাসনের একজন কর্মচারী জানান, ৫ আগস্টের পর থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান আসছেন না। নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জনসাধারণ।
সেবা নিতে আসা আবুল হাসান বলেন,আমার একটা প্রত্যায়নের প্রয়োজন কয়েকদিন ধরে ঘুরছি। এ অবস্থায় আমার সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।
এবিষয়ে একাধিক জনপ্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে দ্রæত নিজ নিজ দপ্তরে মেয়র-চেয়ারম্যানদের তাদের কার্যালয়ে যোগদানের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।