মোঃ পারভেজ খান,মোংলাঃ বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম উপকূল অঞ্চলের মানুষের অন্যতম প্রধান জীবিকার স্থান সুন্দরবন। জেলেরা মাছ ধরেন ,মৌয়ালরা সংগ্রহ করেন বিভিন্ন ফুলের মৌ। ওতোপ্রত ভাবে আরো অনেক মানুষ এই জীবিকার সাথে সংশ্লিষ্ট থাকেন। দেশ-বিদেশের ভ্রমণ পিপাসু মানুষেরা চিত্ত বিনোদনের জন্য ও নৈসর্গিক এই পরিবেশ দেখার জন্য মুখিয়ে থাকেন সব সময়। বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র এই সুন্দরবন।
সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের দেওয়া তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে ৩১ আগষ্ট। ১ সেপ্টেম্বর থেকে খুলছে সুন্দরবন। জেলেরা ব্যস্ত তাদের একমাত্র রুটিরুজির উপকরণ নৌকা, জাল-দড়ি গুছিয়ে তাঁরা নামবেন জঙ্গলে। একই সাথে নামবেন পর্যটকরা। পর্যটনের সাথেও এই অঞ্চলের অসংখ্য মানুষের রুটি-রুজি নির্ভর করে।
দেশের পূর্বাঞ্চল বন্যা দুর্গত। একই সময়ে বন উপকূলের বেশ কিছু এলাকাও প্লাবিত হয়েছে। বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে পাইকগাছার বিস্তীর্ণ এলাকা ডুবেছে লবণ পানিতে।
ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি উপকূলের মানুষেদের একটু বেশি। ডুবে যাওয়া জনপদের মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল এই বন । সামনে মাছ-কাঁকড়া পেলে সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠবে মানুষ।