লংকাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসির নতুন এমডি হিসেবে যোগদান করেছেন হুমায়রা আজম। আর্থিক খাতে তিনি গত ৩৪ বছর ব্যবসায়িক পুনর্গঠন ও পরিবর্ধনে বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নেতৃত্বের পরিচয় দিয়ে আসছেন।
হুমায়রা আজম ব্যাংকিং ও নন-ব্যাংকিং খাতে দেশের প্রথম নারী প্রধান নির্বাহী হিসেবে ট্রাস্ট ব্যাংক ও আইপিডিসি ফাইন্যান্সে কর্মরত ছিলেন। পেশাগত জীবনে তিনি করপোরেট ব্যাংকিং, বাণিজ্যিক ব্যাংকিং, বৈদেশিক বাণিজ্য, ট্রেজারি, রিটেইল ব্যাংকিং, সম্পদ ব্যবস্থাপনা, শাখা ব্যাংকিং, ইসলামিক ব্যাংকিং, ঋণ ব্যবস্থাপনা, মূলধন ব্যবস্থাপনা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সিকিউরিটিজের বিভিন্ন শাখায় কাজ করেছেন।
হুমায়রা আজম ১৯৯০ সালে এএনজেড গ্রিন্ডলেজ ব্যাংকে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি তিনটি বহুজাতিক ব্যাংক, একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং দুটি স্থানীয় বেসরকারি ব্যাংকের সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার মেয়াদকালে এইচএসবিসি বাংলাদেশ, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এবং আইপিডিসি ফাইন্যান্স শক্তিশালী কাঠামো গঠন থেকে শুরু করে ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং সফল কৌশল বাস্তবায়নে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে।
হুমায়রা আজম সর্বশেষ ট্রাস্ট ব্যাংকে এমডি ও সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার নেতৃত্বে ব্যাংকটি অপারেটিং মুনাফা, আমানত এবং বৈদেশিক রেমিট্যান্সে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করে। হুমায়রা আজমের মেয়াদকালে ট্রাস্ট ব্যাংক একাধিক মাইলফলক স্পর্শ করে, যার মধ্যে ভিসার প্রিন্সিপাল সদস্য হওয়া, মূলধনের ভিত্তি শক্তিশালী করা এবং ইসলামী ব্যাংকিং বিভাগে স্বীকৃতি পাওয়া অন্যতম। তার অসামান্য নেতৃত্বে ট্রাস্ট ব্যাংক ২০২২ ও ২০২৩ সালে পরপর দুইবার সাসটেইনেবিলিটি রেটিংয়ে সেরা সাতটি ব্যাংকের মধ্যে স্থান করে নেয়।
অক্সফোর্ডের অ্যাডভান্সড লিডারশিপ প্রোগ্রাম হুমায়রা আজমকে বৈশ্বিক শীর্ষস্থানীয় নেতাদের একজন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এছাড়া তিনি ইনসিড থেকে অ্যাডভান্সড লিডারশিপ প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেছেন। তিনি ক্যামব্রিজ আইএফএ কর্তৃক ওমেনআই ২০২১ ও ২০২২ প্রতিবেদনে ইসলামিক ব্যবসা ও অর্থায়নে প্রভাবশালী সাতজন নারীর মধ্যে জায়গা করে নেন।
হুমায়রা আজমের প্রাপ্ত পুরস্কারগুলোর মধ্যে জেসিআই উইমেন অব ইনস্পিরেশন অ্যাওয়ার্ড ও ব্র্যাক ব্যাংকের টপ উইমেন ব্যাংকার্স অ্যাওয়ার্ড উল্লেখযোগ্য