নাটোর সদর উপজেলায় কাফুরিয়া এলাকার নারায়নপাড়ায় মুরসালিন নামে (৩ মাসের) এক শিশুকে (পাকা ওয়াল) ইটের উপর আছাড় দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পিতা ইয়াসিন আলীর বিরুদ্ধে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে নাটোর সদর উপজেলার কাফুরিয়া ইউনিয়নের নারায়নপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে,এ ঘটনায় পুলিশ ইয়াসিন আলীকে তার বাড়ি থেকে আটক করেছে। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় চার বছর পূর্বে নাটোর সদর উপজেলায় কাফুরিয়া এলাকার নারায়নপাড়ায় গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে কৃষক ইয়াছিনের সাথে রাজশাহী পুঠিয়া উপজোর কাঠালবাড়িয়া গ্রামের ভ্যান চালক কামরুল ইসলাম এর মেয়ে রুপা বেগম (২৪) এর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়,বিয়ে এক বছরের মধ্যে তাদের একটি কন্যা সন্তানও জন্ম হয়,বিয়ের সময় এক লক্ষ যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রী রুপাকে নির্যাতন করতো স্বামী। গরীব বাবার মেয়ে তাই বাধ্য হয়ে স্বামীর সংসার করে আসছে রুপা বেগম। নিহতের মা রুপা বেগম বলেন, তার ৩ মাসের শিশু সন্তানকে গত মঙ্গলবার সবাবার বাড়িতে টিকা দিয়ে বুধবার স্বামীর গৃহে আসে,দুপুরে রান্না-বান্না করে ছেলেকে রেখে পাশের বাড়িতে পানি আনতে যায়,এসময় ফিরে এসে দেখে তার সন্তান অচেতন এবং মাথা ও নাখ-মুখে আঘাতের চিহ্ন, দ্রুত পাশের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মাথায় পানি দেয়,পরে তাকে স্থানীয়রা তাকে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের স্বজন (জ্যেঠা) খলিল জানায়, যখন ঘটনা ঘটে তখন আমি বাড়িতে ছিলাম না,জমিতে কাজ করছিলাম,খবর পেয়ে এসে শুনি যে, চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশ এসেছিলো তখন নিহত শিশুর বোন বলে আমার পিতা ইয়াসিন আলী আমার ভাই মুরসালিনকে ঘরের ইটের সাথে মাথায় আঘাত করে মেরেছে। নিহতের মামা সিপন জানায়, আমরা শুনেছি আমার ভাগ্নেকে তার বাবা ঘরের ইটের সাথে মাথায় আঘাত করে মেরেছে,এরপর স্থানীয়রা তাকে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন,মমলা করার জন্য ভাগ্নের মরদেহ নিয়ে নাটোর সদর থানায় যাচ্ছি। নাটোর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান,এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে জেনেছেন শিশুটিকে ইটের আছড়িয়ে মেরেছে তার বাবা, ঘটনাস্থলে অফিসার ফোর্স পাঠানো হয়েছে সেখান থেকে ইয়াসিন আলীকে আটক করে থানা আনা হয়, এঘটনায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন অভিযোগ হয়নি,অভিযোগ পেলে আইনগত ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।