মোঃ মিজানুর রহমান (পুঠিয়া) রাজশাহী প্রতিনিধিঃ বেশ কয়েকদিন থেকে বিদ্যুৎ যাওয়া আসার খেলায় মেতেছে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ এর পুঠিয়া জোনাল অফিস। আর বিপাকে পড়েছে পুঠিয়া উপজেলার ৭৪ হাজার এক শত ৪০ এর বেশি গ্রাহক। কোনোভাবেই থামছে না পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং। জানা গেছে, নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ এর আওতাধীন পুঠিয়া উপজেলা। এখানে বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার খেলায় অশিষ্ট সাধারণ মানুষ। নাটোর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি ১ এর পুঠিয়া জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায়, পুঠিয়া উপজেলায় বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী সংখ্যা ৭৪ হাজার এক শত ৪০ এর বেশি গ্রাহক। আবাসিক-৬৬২০২,বানিজ্যক-৫৮৮১,দাতব্যপ্রতিষ্ঠান-৯০৮,রাস্তার বাতি -৪২,শিল্প- ৫৯০ ও সেচ কাজে ব্যবহার পাম্পের সংখ্যা-৫১৭ টি। তবে বর্তমানে জাতীয় গৃহে বিদ্যুতের ঘাটতির কারণে গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাচ্ছে না। পুঠিয়া উপজেলার জন্য প্রতিদিন প্রয়োজন ২২ মেগা ওয়ার্ড বিদ্যুৎ। তবে তা বর্তমান চাহিদার অনেক উপরে। বর্তমানে এ উপজেলায় বিদ্যুৎ পাচ্ছে ৬ থেকে ৭ মেগা ওয়ার্ড যা চাহিদা তুলনায় তিন ভাগের এক ভাগ। এ কারণেই বর্তমানে অনেক বেশি লোডশেডিং চলমান। অতিরিক্ত গরম ও উৎপাদন কম থাকার কারণে এই সমস্যাটি সৃষ্টি হয়েছে। গ্রাহক মনিরুল ইসলাম বলেন, তীব্র গরমে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে জীবন অতিষ্ঠ। পাশাপাশি সকল কর্মস্থানের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এখন প্রায় প্রত্যেকটি কর্মস্থল বিদ্যুতের ওপর নির্ভর করে। বর্তমানে লোডশেডিং এর কারণে দেশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কৃষক মাসুদ রানা বলেন, বিদ্যুৎ না থাকার কারণে জমিতে পানি সেচ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই মুহূর্তে ধানে থোড় আসার সময় হয়েছে। বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় জমিতে পানি নেই। এখন ধানের জমিতে প্রয়োজন প্রচুর পানি। ধান ক্ষেতে সঠিক সময় সেচ না দিলে বেশিরভাগ ধান চিটা হয়ে যাবে। এই মুহূর্তে চরম বিপদে আছি। পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১, পুঠিয়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আহসানুল করিম বলেন, অনেক স্থানে এখনো বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ। তীব্র গরমে বিদ্যুৎতের চাহিদা অনেক বেশি। এই গরমে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রয়োজন তা জাতীয় গ্রেট থেকে আমরা পাচ্ছিনা,তাহলে গ্রাহকদের চাহিদা কিভাবে পূরণ করবো? পুঠিয়ার গ্রাহকরা চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছে না মর্মে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে লিখিত নোটিশ পাঠিয়েছি। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসলে হয়তো বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।