মাসুম বিল্লাহ, বগুড়াঃ মাত্র দেড় কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশায় দুই গ্রামের ১০ হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে দিন কাটাচ্ছে। দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসলে ও এই রাস্তায় উন্নয়নের ছোঁয়া আজও লাগেনি।অনেক চেয়ারম্যান এমপি আসে যায়, আশা দেন কিন্তুু অজানা কারণে কাজ হয় না। রাস্তাটি বগুড়া শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর ও সুঘাট ইউনিয়নের বিনোদপুর ও কাশিয়াবালা গ্রামের। জানা যায়, উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের শেষ অংশে বিনোদপুর গ্রামের হাফ কিলোমিটার কাঁচারাস্তা ও মির্জাপুর ইউনিয়নের কাশিয়াবালার পশ্চিমপাড়া থেকে পূর্বপাড়া এক কিলোমিটার কাঁচারাস্তা। এই দেড় কিলোমিটার রাস্তাটি দিয়ে দেড় হাজার শিক্ষার্থীসহ এলাকার ১০ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্রপথ। অধিকাংশ সময় জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকে। অপ্রশস্ত এই রাস্তা দিয়ে হেঁটে ও ব্যাটারি চালিত অটো ভ্যান-রিক্সা, ভটভটি চলাচল করে। রাস্তার বেহাল দশা হওয়াতে প্রায় সময়ই শিক্ষার্থীরা সময়মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছাতে পারেনা। বর্ষা এলে তাদের দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। কাঁচা রাস্তাটি তখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। কাঁদামাটিতে শিক্ষার্থীদের কাপড় (স্কুল ড্রেস) নষ্ট হয়ে যায়। দিন দিন হয়ে ওঠে আরও ঝুঁকিপূর্ণ। এই দু’টি গ্রাম কৃষিপ্রধান এলাকা হওয়ায় স্থানীয় চাষিরাও তাদের পণ্য বাজারে আনা-নেওয়া করতে পরিবহন ব্যবহার করতে পারেন না। ফলে তারা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন। বিনোদপুর গ্রামের এস আই বীজ ভান্ডারের সত্বাধীকারী মোঃ ইমদাদুল হক মিলন বলেন, গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিনোদপুর প্রচেষ্টা ক্লাবেী আয়োজনে মিনিবার ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা বিনোদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অতিথি করা হয়েছিল শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার , ওসি ও বাংলাদেশসুপ্রিম কোর্টের অ্যাড. আলী হাসানকে। রাস্তা এতটাইখারাপ যে তারা রাস্তা দিয়ে আসতে পারেনি। পরে পায়ে হেটে নৌকা দিয়ে অতিথিদের অনুষ্ঠানে আনতে হয়েছে। আমাদের জন্য এটা বড়ই দুঃখ ও লজ্জা জনক। এই রাস্তানিয়ে খুব সমস্যায় আছি এবং আমরা হতাশ হয়ে পড়েছি। কৃষক মোকাররম, আলম,ফুরকান আলী,ইসলাম হোসেনসহ আরো অনেকে বলেন,এলাকাটি কৃষি প্রধান হওয়ায় এখানকার কৃষিপণ্য বাজারজাতকরতে প্রায় সাত কিলোমিটার দুরে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু এই দেড়কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা হওয়াতে গাড়ি তোমন পাওয়া যায়না। গেলেও অনে বাড়তি ভাড়া গুনতে হয়। নদীতে পানি থাকলে নৌকা দিয়ে নিয়ে যাওয়া যেত, নদীতেও পানি নেই তেমন। তাই আমরা সবাই রাস্তাটির দ্রুত সংস্কার চাই। রাস্তা সম্পর্কে জানতে চাইলে ফাইনাল খেলার প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সুমন জিহাদীর প্রতিনিধি উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ ওবাইদুল হক ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুবীর কুমার পাল জানান, রাস্তাটি খুবই খারাপ গাড়ি কোনো ভাবেই মাঠ পর্যন্ত নিয়ে আসা সম্ভব হবে না,তাই আমরা দেড়কিলোমিটার দূরে আমাদের গাড়ি পার্কিং করে, পায়ে হেঁটে অনেক কষ্ট করে এখানে উপস্থিত হয়েছি, শেরপুর থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রেজাউল করিম রেজা জানান, আমি পরপর দুইদিন এই গ্রামে আসলাম। রাস্তা খুবই খারাপ হওয়াতে নৌকা ও পায়ে হেঁটে উপস্থিত হয়েছি,রাস্তাটিতে চলা চলের উপযোগী করার জন্য খুবই দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগের শেরপুর উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ বলেন, রাস্তাটির এখনো কোনো টেন্ডার হয়নি। আগামীতে নতুন করে কোনো কাজ আসলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্য রাস্তাটি পাকাকরণের সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে।