এম এস সজীবঃ বরগুনা জেলা প্রশাসনে দূর্নীতিবাজ দুই (স্বামী—স্ত্রী) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পিযুষ কান্তি দে (রাজস্ব) ও শুভ্রা দাস (সার্বিক) দ্বয়ের বদলীর দাবীতে গতকাল সকাল ১০টায় এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। বরগুনা শহর বৈধ ভূমি রক্ষা আন্দোলন কমিটির আহবায়ক দৈনিক দ্বীপাঞ্চল সম্পাদক মোঃ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে সহাস্রাধীক ছাত্র জনতার মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বরগুনার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম টুকু, বরগুনা বন্দর ক্লাবের আহবায়ক মোঃ শামসুল আলম সানু, দৈনিক সৈকত সংবাদ সম্পাদক জহিরুল হাসান বাদশা, বরগুনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক মোঃ জাকির হোসেন মিরাজ, বরগুনা চেম্বার অব কমার্সের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিঃ দিলীপ কর্মকার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জহিরুল হক পনু মৃধা, বরগুনা উপজেলা যুব দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম আজাদ হাওলাদার, বাস মালিক সমিতির আহবায়ক মোঃ হারুন অর রশিদ, হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণত সম্পাদক মোঃ সোহেল পঞ্চায়েত, খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মুশফিক আরিফ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ আবুল কালাম আজাদ (কালাম হাজী), চলমান আন্দোলনের যুগ্ম সচিব এন. জিয়া উদ্দিন ফারহান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অনেকে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন আন্দোলনের সদস্য সচিব সাংবাদিক রেজাউল ইসলাম টিটু মোল্লা। বক্তারা বলেন “স্বৈরশাসকের পতনের পর দেশের ব্যপক পরিবর্তন হলেও তার দালাল ও দূর্নীতিবাজ বরগুনার দুই অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পীযুষ চন্দ্র দে (রাজস্ব) ও শুভ্রা দাস (সার্বিক) বরগুনার প্রশাসনে ঘাপটি মেরে বসে আছে। স্বৈরশাসকের দালাল তৎকালীন জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের দোশর দুই স্বামী—স্ত্রী গত সারে তিন বছরে ব্যপক দূর্নীতি করে আসছে। বরগুনার শত বছরের বৈধ ও রেকর্ডিয় ভূমি মালিকদের কাছ থেকে অবৈধ ভাবে অর্থ আদায়ের অসৎ উদ্দেশ্যে তাদের জমি জমা খাস ক্ষতিয়ান ভুক্ত করার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। মিথ্যা অজুহাতে গত ৩/৪ বছর খাজনা নিচ্ছে না দাখিলা দিচ্ছেনা। জমির বেচাকেনা বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে। অন্যদিকে দাখিলার অভাবে বরগুনা শহরের সহাস্রাধীক ব্যবসায়ীর বিভিন্ন ব্যাংকে প্রায় তিন’শ কোটি টাকার ঋনের লেনদেন স্থবির হয়ে পরেছে। গত তিন বছরে বরগুনার অর্থনৈতিক অবস্থা পঙ্গু হয়ে পরেছে। বক্তৃতারা আরো বলেন “দূর্নীতিবাজ দুই এডিসিকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অপসারন করে স্বৈরশাসকের অর্থলোভী কর্মকর্তাদের সৃষ্ট এ কৃত্রিম জটিলতা বর্তমান প্রশাসনকেই দিতে হবে। অন্যথায় বরগুনা বাসী আরো কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবে।