রামবসাক,শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে কাজলী স্কোয়াস চাষ করে সফলতা পেয়েছেন কৃষকেরা। এ ধরনের সবজি অত্র অঞ্চলের মধ্যে গত কয়েক বছর যাবত চাষাবাদ শুরু হয়েছে। ১ বিঘা জমি থেকে উৎপাদন খরচ বাদে নূন্যতম ১ লক্ষ টাকা লাভ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।
উপজেলার রুপবাটি ইউনিয়নের চরধুনাইল গ্রামের কৃষকেরা স্কোয়াস চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে বেশ লাভবান হতে শুরু করেছেন। তবে বিগত বছর গুলোর তুলনায় এবছর বাজার মূল্য কম হওয়ায় হতাশ কৃষকেরা।
চর ধুনাইল গ্রামের স্কোয়াস চাষি ছোরমান মোল্লা তিনি জানান,আমি এ বছর নিজের ১বিঘা জমিতে স্কোয়াস চাষ করছি।কৃষি বিভাগের পরামর্শে কাজলী জাতের স্কোয়াস সবজির বীজ সংগ্রহ করে এ সবজি চাষ শুরু করেন।খরচ বাদে বেশ ভালই লাভ হয়েছে।
চরধুনাইল গ্রামের স্কোয়াস চাষি মজনু মিয়া জানান, তিনি প্রায় ২ বিঘা জমিতে স্কোয়াস চাষ করছেন। বর্তমানে স্কোয়াসের প্রতিটি গাছ ফলে ফলে ভরে গেছে। প্রতিদিন যে ফল সংগ্রহ করা হয় তা স্থানীয় বাজারের চাহিদা পূরণ করে ঢাকাতে রপ্তানি করা হয়।ঢাকার পার্টি এসে প্রতিদিন আমাদের কাছ থেকে প্রতি পিচ স্কোয়াস ১৫ টাকা করে কিনে নিয়ে ঢাকাতে প্রতি পিচ ২২ টাকা করে বিক্রি করে। আশা করছি খরচ বাদে ১ বিঘা জমিতে আমার ১ লক্ষ টাকা লাভ হবে।মজনুর মত আব্দুর রহমান, রেজাউল, আলিম, আব্দুল মজিদ তাদের আবাদী জমিতে বাণিজ্যিকভাবে স্কোয়াস চাষ শুরু করেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জেরিন আহমেদ বলেন,চলতি ২৪-২৫ অর্থবছরে শাহজাদপুর উপজেলায় ২৫ হেক্টর জমিতে স্কোয়াসের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তা আমরা শতভাগ জমিতে স্কোয়াস উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি।স্কোয়াস একটি উচ্চমূল্যের ফসল আমরা প্রতি হেক্টর জমিতে ৩০ থেকে ৩৫ মেট্রিকটন স্কোয়াস উৎপাদন করে থাকি। শাহজাদপুর উপজেলার আন্দারমানি এলাকায় স্কোয়াস দেখার জন্য এসেছি। এখানে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রদর্শন স্থাপিত হয়েছে।আমরা এই স্কোয়াস আবারটাকে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি। একজন কৃষক জমি থেকে একটি গাছ থেকে তিন থেকে চারবার স্কোয়াস আহরণ করতে পারে। এক বিঘা জমিতে ২১ শত থেকে ২২ শত চারা রোপন করতে পারে।আমরা যদি গড়ে চারটি করে ফল হিসাব করি তাহলে তারা প্রায় ৮ হাজার থেকে ৯ হাজার স্কোয়াস উৎপাদন করতে পারছে। আমরা এক পর্যায়ে হিসাব করে দেখেছি ১বিঘা জমিতে কৃষক স্কোয়াস আবাস করে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।এই আন্দারমানির স্কোয়াস শুধু শাহজাদপুর উপজেলায় নয় এটি কিন্তু রাজধানী ঢাকাতে রপ্তানি করা হয়।