
মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার। ঈদগাঁওতে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশাল মানববন্ধন। ১৪ ফেব্রুয়ারি বাদে জুমা বাজারের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে মিছিলের মাধ্যমে এটি শুরু হয়। যা ডিসি রোড অতিক্রম করে বাস স্টেশনে গিয়ে বক্তৃতা প্রদানের মাধ্যমে শেষ হয়। বৃহত্তর ঈদগাঁও উলামা পরিষদ এ কর্মসূচির আয়োজন করে। জুলাই- ২৪ শহীদদের স্মৃতিচারণ ও দোয়া এবং অশ্লীলতা ও অনৈসলামিক কার্যকলাপ পরিত্যাগের দাবিতে মানববন্ধনটির আয়োজন করা হয়। প্রশাসন অনুমোদিত ঈদগাঁও উপজেলা ছাত্র ও জনতার ব্যানারে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য পিঠা উৎসবে অসামাজিক ও অনৈসলামিক কার্যকলাপ পরিচালিত হবে এ আশঙ্কায় স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ ফুঁসে উঠেছেন। তাদের উপস্থিতিতে চট্টগ্রাম- কক্সবাজার মহাসড়কের বাসস্টেশন চত্বরে মিছিল পরবর্তী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ওলামা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হাফেজ আমীনুর রশিদের সঞ্চালনায় এতে পিঠা উৎসব বিরোধী বক্তব্য রাখেন ঈদগাঁও বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা জহিরুল ইসলাম, ওলামা পরিষদের উপদেষ্টা মাওলানা আব্দুর রহমান আযাদ, উপদেষ্টা হাফেজ শহীদ উল্লাহ মিয়াজী, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা কবির আহমদ, আলেমেদ্বীন প্রভাষক মাওলানা ইউনুছ নজির, বাস স্টেশন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোঃ জাহেদ, নতুন অফিস কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মিজানুর রহমান সিরাজী, ইসলামাবাদ ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা বেলাল উদ্দিন আযাদ, সাংবাদিক মিজানুর রহমান আযাদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ঈদগাঁও শাহ ফকির বাজারে আহত কক্সবাজার পলিটেকনিক শিক্ষার্থী শাখাওয়াত হোসেন। আলেম-ওলামারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বৃহত্তর ঈদগাঁওর ধর্মপ্রাণ সাধারণ জনগণ পিঠা উৎসবের নামে কোন ধরনের অনৈসলামিক ও অসামাজিক কার্যকলাপ সহ্য করবে না। জুলাই স্মৃতি চর্চার আড়ালে জুয়াড়ীদের হীন তৎপরতা রুখে দেবে। প্রয়োজনে জনগণ জীবন বাজি রাখবে তবুও অশ্লীলতা হতে দেবে না। বক্তারা আরো বলেন, ইতিপূর্বেও নানা ব্যানারে মেলার নামে মহলবিশেষ ঈদগাঁওতে জন ও ধর্ম বিরোধী কর্মকান্ড পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছিল। এলাকাবাসী ও ধর্মপ্রাণ মানুষের প্রতিবাদের মুখে আয়োজকরা তা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়। আজকের এই বিশাল উপস্থিতি প্রমাণ করে এখানকার জনগণ পিঠা উৎসবের নামে ইসলামবিরোধী যে কোন চক্রান্ত শক্ত হাতে দমন করবে। প্রতিবাদকারীরা প্রশাসনের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। তারা জনগণের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন। আমাদের বিশ্বাস তারা জনবিরোধী কোন কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করবেন না। এলাকার সিংহভাগ মানুষের চাওয়া- পাওয়াকে অগ্রাধিকার দেবেন। এর অন্যথা হলে উদ্ভূত যে কোন পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনই দায়ী থাকবেন। অতীতে ঈদগাঁওতে সার্কাস পুড়ানোর ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বক্তারা আরো বলেন, মা- বোনদের ইজ্জত রক্ষা ও অনৈসলামিক কার্যকলাপ প্রতিরোধে আলেম- ওলামারা ধর্ম প্রিয় এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে অশ্লীলতার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন।