

মোঃ খলিলুর হমান, সাতক্ষীরা:: সাতক্ষীরার অন্যতম আকর্ষণ সড়ক পথে সুন্দরবন দেখা। কিন্তু সুন্দরবনে যাওয়ার এ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায়, যাত্রী-চালক উভয়ই বিপাকে। জেলা শহর থেকে দেবহাটা, কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর যাওয়ারও একমাত্র সড়ক এটি। সাতক্ষীরা সদর থেকে কালীগঞ্জ হয়ে শ্যামনগর পর্যন্ত প্রায় ৬২ কিলোমিটার সড়ক এখন মরণফাঁদ। দীর্ঘদিন হয়নি সংস্কার, অধিকাংশ স্থানে ছোট-বড় খানাখন্দ। ঝুঁকিপূর্ণ এ পথে চলছে যানবাহন, প্রায়ই দুর্ঘটনায় ঘটছে প্রাণহানি। ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগ, চিংড়ির রপ্তানি, কমছে পর্যটক। সড়ক বিভাগ বলছে, দ্রুত শুরু হবে সড়কের নির্মাণকাজ। গেলো এক দশকে এ সড়কে ছোটখাটো গর্ত মেরামত ছাড়া, বড় কোন সংস্কার হয়নি। যেকারণে সড়কের গর্তগুলো আরও বড় হয়ে যা পরিণত হয়েছে মরণফাঁদে। প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। ভোগান্তির শিকার কয়েক লাখ মানুষ।স্থানীয়রা জানান, এ সড়কের কোনো সংস্কার করা হচ্ছে না। সড়কটি চার লেনের করার প্রয়োজন। কিন্তু কোনো কাজই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। সড়কে চলাফেরা করতে তাদের ভোগান্তি হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা। উপকূলের এ অঞ্চলের চিংড়ি ও বিভিন্ন মাছ সময়মতো ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছাতে বেগ পোহাত হচ্ছে। ভাঙা সড়কের কারণে আগ্রহ হারাচ্ছেন পর্যটকরাও। নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে স্থানীয় ব্যবসা ও পর্যটনখাতেও। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, চিংড়ি ও বিভিন্ন মাছ পরিবহনে তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। সঙ্গে ঘটছে বিভিন্ন দুর্ঘটনা। সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা জানালেন, সড়ক সংস্কারে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, দ্রুতই শুরু হবে নতুন সড়ক নির্মাণকাজ। সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগ নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আনোয়ার পারভেজ বলেন, এ মৌসুমে ভারী বৃষ্টির কারণে কাজ শুরু করতে সময় লাগছে। আমরা খুব দ্রুতই কাজ শুরু করতে পারবো বলে আশা করছি।